তীব্র প্রতিকূলতার মধ্য়েই বিপন্ন জাহাজ থেকে উদ্ধারকাজ চালালো ভারতীয় নৌবাহিনী,ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনী। একটি লিবেরিয়ান কনটেনার ভেসেল কেরলের উপকূলের বািরে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। এরপরই ভারতীয় নেভির কাছে খবর আসে। আর তারপরই আইনএস সাতপুরা ও আইএনএস সুজাতাকে কাজে লাগানো হয়। অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য়েও সেই বিপন্ন জাহাজ থেকে বিপন্ন সমস্ত ক্রুদের উদ্ধার করেছে ইন্ডিয়ান নেভি।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আইএনএস সুজাতার ক্যাপটেন গোটা উদ্ধারকাজ কীভাবে করা হয়েছিল তার বিবরণ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ২৪ মে রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ মোটর ভেসেল এমএসসি এলসা থেকে একটা ডাক এসেছিল। এরপরই তৈরি হয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। দুটি জাহাজকে নিয়োগ করা হয়। একটি হল আইএনএস সাতপুরা। আএনএস সুজাতা পৌঁছয় সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। আর সাতপুরা যায় রাত ৮টা নাগাদ। কিন্তু উদ্ধারকাজে গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি। তীব্র বাতাস বইছে। তার সঙ্গেই উত্তাল সমুদ্র। চারদিকে কনটেনার ছড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্য়ে জাহাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টের। তবে তার মধ্য়েই এগিয়ে যেতে থাকে দুটি ভারতীয় জাহাজ। এরপর ২১জন ক্রুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরপর সকালে আরও তিনজন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় জাহাজ দুটিকে। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে উদ্ধারকাজ। যে তিনজনকে সবার শেষে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁরা হলেন ক্যাপটেন, ফার্স্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁরা বর্তমানে নিরাপদে রয়েছেন।
আইএনএস সুজাতার ক্যাপটেন জানিয়েছেন, রাতে ভালো করে দেখা যাচ্ছিল না। বর্ষাকালে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে প্রবল হাওয়া। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সফলভাবে ২৪জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রচুর কন্টেনার ভাসছিল ওই এলাকায়। সেই সঙ্গেই নানা ধরনের আবর্জনা রয়েছে। এসবের মধ্যেই বিপন্ন ক্রুদের উদ্ধার করাটা অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছে ভারতীয় নৌ বাহিনী।
ভারতীয় নৌবাহিনী ও ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই উদ্ধারকাজে। একের পর এক ক্রুদের উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভারতের নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর এই সফলতা নিঃসন্দেহে গর্ব করার মতো।