বাংলাদেশের সেনা মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আসন্ন ইদ উল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু (এডিস) মশা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত কোনও কাজের অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই। প্রশ্ন উঠতে পারে, কী প্রেক্ষিতে এমন বক্তব্য আসে বাংলাদেশের সেনার তরফে? জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার সূত্রপাত সেদেশের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের এক বক্তব্য ঘিরে।
ঢাকার প্রশাসক এজাজের এক সাক্ষাৎকার সদ্য প্রকাশিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সেখানে আসন্ন ইদে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে প্রশাসক এজাজ বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা আলাদা কমিটি করে দিচ্ছি। তা ছাড়া আমরা চেষ্টা করব এবার আর্মিকে ডিপ্লয় করার জন্য।' তিনি বলেন,'আমরা আর্মির মাধ্যমেই কোরবানির আগে এটা প্রসেসে নিয়ে যাব।' সাক্ষাৎকারে এজাজ বলেন,'বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা সেনাবাহিনীকে এবার কাজে লাগাব। দিস ইজ দ্য ফার্স্ট টাইম দে উইল বি ডিপ্লয়। সুতরাং আশা করি, এটা একটা নতুন জায়গায় যাবে।' সেখানে তিনি সাফ বলেন,'আর্মির সাপোর্টটা একটা বড় সাপোর্ট হবে। আর্মির সাপোর্ট একটা বড় স্ট্র্যাটেজিক মুভ হবে আমাদের।'
( দণ্ডনায়ক শনিদেব তৈরি করতে চলেছেন পঞ্চক যোগ, সঙ্গী সূর্যদেব! বৃষ সহ ৩ রাশিতে কী কী লাভ?)
এই নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে এক সাফ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের এক বক্তব্যে বলা হয়, আসন্ন ইদ উল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু (এডিস) মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনও কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনও কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।’ বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী মনে করে, কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মতো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ও উপযুক্ত সংস্থাগুলোকে দেওয়াই যৌক্তিক হবে।
এরপরই এজাজ বলেন, ‘আমরাও একটা ফেসবুক পেজে রিজয়েন্ডার দিয়ে দিয়েছি। কোনও নিউজ দেখে হয়তো–বা এটা করা হয়েছে। আমরা অলরেডি সাপোর্ট নিচ্ছি। যেমন বিএমটিএফ, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড, এগুলো থেকে সাপোর্ট নিচ্ছিই। মশার ক্ষেত্রেও বিএমটিএফের সাপোর্ট নিচ্ছি।’ তিনি বলেন,'সেনাবাহিনীর কাজ তো দেশকে রক্ষা করা। এটা ভুল–বোঝাবুঝি, এ ছাড়া কিছুই নয়।'