৩৫ বছর আগে নাবালকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক। যার ফলে জন্ম নিয়েছিল এক সন্তানও। নিজের অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন আইসল্যান্ডের শিশু কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী আস্থিলদার লোয়া থোরসদোত্তির। ব্যক্তিগত কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির জেরেই তিনি পদ ছেড়ে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নাবালক কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক লিপ্ত হয়ে সন্তান ধারণ করা মহিলার হাতে শিক্ষা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব কেন দেওয়া হল, সেই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। তার জেরেই পদত্যাগ করতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন-Bengaluru: স্ত্রীর মৃতদেহের সঙ্গে গল্প! শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে পলাতক, গ্রেফতার স্বামী
২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বরই আইসল্যান্ডের শিক্ষা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন আস্থিলদার লোয়া থোরসদোত্তির। গত ২০ মার্চ, অর্থাৎ তিন মাসের মাথায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।থোরসদোত্তির জানান, সম্পর্কটি বহু পুরনো। তিন দশক আগে, তখন তাঁর নিজের বয়স ছিল ২২ বছর, আর ওই কিশোরের বয়স ছিল ১৫ বছর। ধর্মীয় একটি দলের কাউন্সেলর ছিলেন আস্থিলদার। সেখানেই কিশোর আসমুন্ডসনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর আস্তে আস্তে সেটা শারীরিক সম্পর্কের দিকে যায়। বর্তমানে আস্থিলদার লোয়া থোরসদোত্তির বয়স ৫৮। তিনি তাঁর ২৩ বছর বয়সে ওই সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের জন্মের সময় ওই কিশোর বাবা হিসেবে হাসপাতালে উপস্থিতও ছিল। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পরবর্তীতে সরকার এবং গির্জার মাধ্যমে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানান থোরসদোত্তির ওই প্রেমিক। কিন্তু কস্মিন কালেই সেই সুযোগ হয়নি তাঁর। অথচ ১৮ বছর ধরে তাঁর কাছ থেকে সন্তানের ভরণপোষণের টাকা নিয়ে গিয়েছেন থোরসদোত্তির। যদিও থোরসদোত্তির দাবি, সন্তানের জীবনের অংশ হয়ে উঠতে ততটাও চেষ্টা ছিল না তাঁর একদা প্রেমিকের তরফে।
সম্প্রতি সেই সন্তানের অধিকার পেতে আইসল্যান্ডের আইন মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিলেন আসমুন্ডসন। কিন্তু তাঁকে সন্তানের অধিকার দিতে অস্বীকার করেন থোরসদোত্তির। এরপর আসমুন্ডসনের এক আত্মীয় যোগাযোগ করেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিষয়টি জানার পরে বৃহস্পতিবার রাতে থোরসদোত্তিরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।শেষ পর্যন্ত নিজের অপরাধ স্বীকার করে তিনি শিশুকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তবে জানা গিয়েছে, পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের কোন পরিকল্পনাই নেই তাঁর।প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্ট্রান ফ্রেস্টাদোত্তির জোট সরকারে শামিল তাঁর দল।এই প্রসঙ্গে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি সিরিয়াস। সাধারণভাবে মানুষ এসব বিষয়ে যা জানেন, তার চেয়ে অন্তত কিছু বেশি জানার কথা ছিল মন্ত্রীর। তাই তিনি এই অভিযোগ পেয়ে আশ্চর্য হয়েছেন। এবং অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অফিসে তিনি তলব করেন মন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-Bengaluru: স্ত্রীর মৃতদেহের সঙ্গে গল্প! শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে পলাতক, গ্রেফতার স্বামী
প্রসঙ্গত, আইসল্যান্ডে যৌনতায় সম্মতি জানানোর সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়সি কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা বেআইনি। সেখানকার আইন অনুসারে, এই অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে, তাঁর সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।