'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।' সিলামপুরের কিশোর হত্যাকাণ্ডে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন ‘লেডি ডন’ জিকরা খান। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সিলামপুরে এক ১৭ বছরের কিশোরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুনের ঘটনার তদন্তে গ্রেফতার করা হয় জিকরাকে।
জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুণালকে তার বাড়ির কাছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটবর্তী জগপ্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের।কুণালের হত্যার ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেছেন স্থানীয়েরা। এরপরেই পুলিশ জিকরা-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এই লেডি ডন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছে, 'আমি কুণালকে খুন করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।' এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে জিকরা।
কিশোর খুনের মামলা
জিকরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে কুণালকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।জানা গিয়েছে, গত বছরের ১ নভেম্বর জিকরার ভাই সাহিল আহমেদকে মারধর করেছিল কুণালের দুই বন্ধু। সেখানে কুণালও উপস্থিত ছিল। ঘটনার জেরে খুনের চেষ্টার মামলাও দায়ের হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কিন্তু নাবালক হওয়ায় কুণালের নাম এফআইআর-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে এরপর থেকেই পিস্তল হাতে এলাকায় ঘুরে বেড়াত জিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে কুণালকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। সাহিলকে মারধর করার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই কুণালকে খুন করা হয়েছে।
'লেডি ডন' জিকরা খান কে?
সিলামপুরের বাসিন্দা জিকরা খান তার মামার পরিবারের সঙ্গে থাকে। স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরে বছর দুয়েকের সন্তানের সঙ্গে থাকে সে। জানা গেছে, জেলবন্দি গ্যাংস্টার হাশিম বাবার স্ত্রী জোয়া-র বাউন্সার হিসেবে কাজ করত জিকরা। খুনের সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ। একটি মাদক পাচার মামলায় জোয়াকে গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত তার সঙ্গেই থাকত জিকরা। হাশিম বাবার পর তার স্ত্রী জোয়াও গ্রেফতার হওয়ার পর জিকরা নিজের একটি গ্যাং চালু করে। জিকরাকে আগেও পুলিশ একবার গ্রেফতার করেছিল। হাতে পিস্তল উঁচিয়ে পোজ দিয়ে তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় সে গ্রেফতার হয়। সেবার বেআইনি অস্ত্র আইন মামলায় হাজতবাস হয়েছিল জিকরার।