কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সোমবার দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কড়গম (ডিএমকে) নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) এবং ত্রিভাষা নীতির বিরোধিতার জবাব দিয়েছেন।
'সম্প্রতি ভারত সরকার তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে সমঝোতার পথও খুঁজে পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ু সরকার যদি সেই পথে রাজি হয়, তাহলে তাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী বরাদ্দ দিতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।' এএনআই সংসদের বাইরে বলা ধর্মেন্দ্র প্রধানের কথাকে উল্লেখ করেছে।
'তামিলনাড়ুতে শুধুমাত্র তামিল ভাষাই পিএম শ্রী স্কুলগুলিতে শিক্ষার মাধ্যম হবে। আপনার (তামিলনাড়ু সরকার) বিরোধিতা কিসের? আমি এটা বুঝতে পারছি না।'
কেন্দ্র কোনও ভাষানীতি চাপিয়ে দিচ্ছে না বলে দাবি করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'পাঞ্জাব, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শ্রী এবং এনইপি বাস্তবায়ন করছে। কেউ কারও উপর কোনও ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে না... তারা শুধু রাজনীতি করে'।
তামিলনাড়ু সরকার জাতীয় শিক্ষানীতিতে সই করতে রাজি হয়েছে বলে ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি উড়িয়ে দিলেন ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান।
মারান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে ডিএমকে কখনই এনইপি বা তার বিতর্কিত ত্রিভাষা নীতিতে সম্মতি দেয়নি, যা তামিলনাড়ুতে উল্লেখযোগ্য বিরোধিতার জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্মেন্দ্র প্রধান মিথ্যা বলেছেন যে ডিএমকে সরকার এনইপি সই করতে রাজি হয়েছে। ডিএমকে কখনই এনইপি বা তিন ভাষা নীতিতে রাজি হয়নি, আমরা শুধু বলেছি যে আমরা পারি না। তামিলনাড়ুর ছাত্রছাত্রীরা কেন তিনটি ভাষা শিখবে? যেখানে উত্তর ভারতের ছাত্রছাত্রীদের শুধুই একটি ভাষাই শিখবে। মারানকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে এএনআই।
তিনি ভাষা নিয়ে তামিলনাড়ুর অবস্থানের পক্ষে আরও বলেন, আমরা হিন্দির বিরুদ্ধে নয়, বরং তিনটি ভাষা বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিল।
আমরা হিন্দির বিরুদ্ধে নই। যদি কোনও পড়ুয়া হিন্দি শিখতে চায়, তবে তারা তা করতে পারে, তবে তা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয়।
ভাষণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ডিএমকে-কে ‘অসৎ’ এবং তামিলনাড়ুর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের মূল্যে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি বলেন, 'ওরা (ডিএমকে) অসৎ। তারা তামিলনাড়ুর শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। তারা তামিলনাড়ুর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। তাদের একমাত্র কাজ ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা। তারা রাজনীতি করছে। তারা অগণতান্ত্রিক ও অসভ্য।
রাজ্যসভায় ত্রিভাষা নীতি ও সীমানা নির্ধারণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ওয়াকআউট করে ডিএমকে।
পরে তামিলনাড়ু সরকারকে প্রধানের 'অসৎ' কটাক্ষের প্রতিবাদে কোয়েম্বাটোরে বিক্ষোভ দেখান ডিএমকে কর্মীরা।