গতমাসে আদানির বকেয়া বাবদ ১৭.৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও আদানির বকেয়া বাবদ ৮৪.৩ কোটি টাকা দেওয়া বাকি তাদের। এই টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম অবস্থা মহম্মদ ইউনুসের। এমনই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশি সংবাদপত্র 'কালের কণ্ঠ' রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানিসহ অন্য বিদেশি কম্পানির বকেয়া পরিশোধ করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে টাকা নেওয়া হবে। এর আগে বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অফিসিয়াল দাবি করেছিল, কৃষি ব্যাঙ্কের ডলারের ঘাটতির জেরে বকেয়া মেটানো যায়নি। তাই এবার বকেয়া মেটাতে অন্য পথ অবলম্বন করছে বাংলাদেশ সরকার। (আরও পড়ুন: হাইকিংয়ের সময় পিছলে গেল পা, মৃত জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড 'ম্যাঙ্গো'র প্রতিষ্ঠাতা)
আরও পড়ুন: ১৯৭৮ থেকে বন্ধ ছিল দরজা, সম্ভলে সেই মন্দির পুনরায় খুলে দিলেন আধিকারিকরা
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি খাতে দেশের জন্যে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা থেকে কাটছাঁট করে আদানি এবং অন্যান্য বিদেশি সংস্থার বকেয়া মেটানো হবে। ইউনুস সরকারের অভিযোগ, বিগত হাসিনা জমানায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে রাজস্বের চাপ রয়েছে। এর আগে আবার দাবি উঠেছিল, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি যাতে বাতিল করা হয়। তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জলসম্পদ, পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়ে দেন, ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ নয় বাংলাদেশের পক্ষে। (আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনা আবার আসবে', আচমকাই ভেসে উঠল খুলনা রেল স্টেশনের বোর্ডে!)
এর আগে আদানির তরফ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে পুরো বকেয়া টাকা না মেটানোয় আদানির থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছিল বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আদানির বকেয়া মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে ইউনুস সরকার। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অগস্টের গোড়ার দিকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাত আদানি পাওয়ার। কিন্তু বকেয়া না পাওয়ার জেরে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমে ৫২০ মেগাওয়েটে ঠেকিয়েছিল আদানি। এদিকে আদানি (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশের হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের থেকে আদানির পাওনার পরিমাণ হল ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৭২০০ কোটি টাকা। এই আবহে ৩১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে বকেয়া টাকা বাবদ লেটার অফ ক্রেডিট দিতে বলেছিল। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশ টাকা না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আর্ধেক কমিয়ে দেয় আদানি। পরে নতুন ডেডলাইন দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। পরে কিছুটা বকেয়া মিটিয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে সিংহভাগ বকেয়াই এখনও বাকি আছে।