চৈত্রের প্রখর রোদে হাল বেহাল বড়দেরই। তাহলে ভাবুন তো, কত কষ্ট হচ্ছে আপনার সদ্যোজাতর। গরমে ডিহাইড্রেশন, হিট র্যাশ, ডায়াপার র্যাশের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক হন এখন থেকেই। গরমে আমাদের মতো শিশুদেরও ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যায়। জন্মের প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোরই পরাসর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই গরমে বাচ্চাকে ঘন ঘন ব্রেস্ট ফিডিং করান। কোনও কারণে, মায়ের বুকের দুধের সমস্যা থাকলে ফর্মূলা মিল্ক দিতে পারেন। তবে, ৬ মাসের আগে বাচ্চাকে নিজে থেকে জল খাওয়ানো উচিত নয়। ৬ মাস পর থেকে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন আপনার সন্তানকে কতটা জল দেবেন। এই গরমে বাচ্চাকে খুব ভালো করে স্নান করান। তবে, কখনই খুব ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করাবেন না। বরং, কুসুম গরম জল ব্যবহার করুন। গরম থেকে বাঁচতে এসি ছাড়া উপায় নেই। তবে, এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা খুব কমিয়ে রাখবেন না। ২৫ থেকে ২৭ তাপমাত্রা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে এসির পাশাপাশি হালকা করে পাখা চালান। এসিতে কখনই বাচ্চাকে খালি গায়ে শোয়াবেন না। গরমে সবসময় বাচ্চাকে ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরান। দুপুরের রোদে বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে না বের করার চেষ্টা করুন।এই গরমে সারাদিন ডায়াপার পরিয়ে না রাখাই ভালো। সঙ্গে একটা ডায়পার ৪-৫ ঘণ্টার বেশি পরাবেন না। ডায়াপার খুলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ডায়াপার র্যাশ ক্রিম লাগিয়ে দিন।