পুজো একদম দোরগোড়ায়। মা উমা আসছেন বাপের বাড়িতে পুজো নিতে। পুজোর চারটি দিন অনেক বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার রীতি রয়েছে। আবার নির্দিষ্ট একটি বা দুটি দিনও অনেক বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়।
আমিষ রান্নার প্রকারভেদ অনেক। কিন্তু নিরামিষ কী কী পদ রান্না করবেন, তা ভাবতে গিয়েই নাজেহাল অবস্থা হয়। তবে অষ্টমীতে অঞ্জলি দিয়ে লুচি, ছোলার ডাল তো হবেই। সঙ্গে বেগুনভাজাও পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু সাবেকি খাবার চেখে দেখার ইচ্ছা যদি থাকে, সাধারণ বেগুন ভাজার বদলে রেঁধে ফেলতেই পারেন ঠাকুরবাড়ির বিখ্যাত পদ বেগুনের কোরমা। (Durga Puja Recipe 2024). রইল রেসিপি।
আরও পড়ুন: (বাংলায় ঠিক কবে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল? এর নেপথ্যে রয়েছে কোন ইতিহাস?)
আরও পড়ুন: (পুজোর আগে রান্নাঘরে তেল চিটচিটে? পরিষ্কার করতে লাগবে কয়েকটা কারিপাতা, তারপর…রইল টিপস)
বেগুন কোরমা (Brinjal Korma)
উপকরণ:
বেগুন: ৩টি
টক দই: ২ কাপ
টোম্যাটো কুচি: ১ কাপ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোটা গরম মশলা: ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ১টি
শাহ জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
আদা বাটা: আধ চা চামচ
জয়িত্রী: এক চিমটে
হিং: এক চিমটে
ঘি: ১ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: আধ কাপ
আরও পড়ুন: (সাদামাটা পদ ছেড়ে পুজোয় বানিয়ে ফেলুন চিকেন মালাইকারি, দেখে নিন রেসিপি)
প্রণালী:
১) প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করতে দিন।
২) সামান্য নুন এবং এক চিমটে হলুদ দিয়ে লম্বা করে কেটে রাখা বেগুন ভেজে তুলে রাখুন।
৩) ছোট একটি পাত্রে সামান্য হিং জল দিয়ে গুলে রাখুন।
৪) পাথরের হামানদিস্তে কিংবা শিলে গোটা গরম মশলা হালকা করে পিষে নিন।
৫) বেগুন ভাজার পর কড়াইতে যে সর্ষের তেল রয়েছে, তার মধ্যেই ফোড়ন হিসাবে দিন তেজপাতা এবং গুঁড়ো গরম মশলা।
৬) হালকা রং ধরলেই হিঙের মিশ্রণ দিয়ে দিন।
৭) এর পর টোম্যাটো কুচি, সব গুঁড়ো মশলা এবং আদা বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন।
৮) মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে দই ফেটিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন।
৯) মশলা কড়াইয়ের তলায় যাতে লেগে না যায় তাই ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। দই থেকে তেল ছেড়ে এলে কড়াইতে দিন নুন এবং চিনি।
১০) ফুটে উঠলে এর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা বেগুনগুলি দিয়ে দিন।
১১) মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ঝোল ঘন হয়ে গেলে উপর থেকে ঘি, জয়িত্রী এবং শাহ্ জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।