Durga Puja 2024: মহিষাদল রাজবাড়ির প্রাচীন রীতি অনুযায়ী দুর্গা পুজো মহালয়ার পর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজবাড়িতে দেবীর পুজো। ১৭৭৮ সালে রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের স্ত্রী রানি জানকীর আমলে মহিষাদল রাজবাড়িতে পুজোর সূচনা হয়েছিল। এর পর ধীরে ধীরে বয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। বর্তমানে রাজবাড়ির জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু নিয়মের বাত্যয় হয় না। এখনও নিয়ম করে শারদোৎসেবর আয়োজন হয় রাজবাড়ির আঙিনায়। মহালয়ার পর থেকে দশমী পর্যন্ত চলে মায়ের আরাধনা।
রাজকীয় মেজাজে থাকার সুবিধা
তবে দুর্গা পুজোর পাশাপাশি মহিষাদল রাজবাড়ি (Mahishadal Rajbari) আরেকটি কারণে বিখ্যাত। তা হল এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। রাজবাড়িতে পুরনো দিনের মেজাজে দিন কাটানোর ইচ্ছে অনেকেরই হতে পারে। তাদের জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে মহিষাদলের এই রাজবাড়ি। এখানে প্রতিটি ঘরের সঙ্গে অ্যাটাচড বাথরুম রয়েছে। রয়েছে পর্যটকদের জন্য যাবতীয় সুবিধার বন্দোবস্তও। রাজকীয় মেজাজে রাত্রিবাসের জন্য অবশ্য আগে থেকে বুকিংয়ের বন্দোবস্ত রয়েছে। বুকিং করে যেতে হবে রাজবাড়িতে।
রয়েছে বুকিংয়ের ব্যবস্থা
রাজাদের আমলের পালঙ্কে শোওয়ার অনুভূতিও পাওয়া যাবে এই রাজবাড়িতে এক রাত কাটালে। পাশাপাশি শ্বেতপাথরের টেবিলে বসে কাঁসার থালা বাসনে খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারেন যে কেউ। পর্যটকদের কথা ভেবে রাজবাড়ির তরফে বিশেষ ব্যবস্থা করা রয়েছে বুকিংয়ের। তাদের নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে ফোন করে বুকিং করতে হবে প্রথমে। তার পর সেই বুকিং অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ঘরটি রাখা থাকবে আপনার জন্য। কলকাতা থেকে মহিষাদল রাজবাড়ির দূরত্বও খুব বেশি নয়। মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এই রাজবাড়ি।
আরও পড়ুন - Qatar Moon Tower Theme: কাতারের মুন টাওয়ার এবার হুগলিতে! শহর থেকে দূরে হলেও তাক লাগাচ্ছে এই পুজো
রাজবাড়ির ইতিহাস
জনার্দন উপাধ্যায় ষষ্ঠদশ শতকে তিনটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করেন। যার মধ্যে প্রথমটি রঙ্গিবসান, দ্বিতীয়টি লালকুঠি এবং তৃতীয়টি ফুলবাগ। রঙ্গিবসান এবং লালকুঠিতে পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে না। সেখানে তাদের প্রবেশের অনুমতি নেই। রঙ্গিবসানে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয় । ফুলবাগই হল আদতে মহিষাদল রাজবাড়ি। সাধারণ পর্যটকরা সেখানে যেতে পারেন । সেখান থেকেই রাজবাড়ির যাবতীয় সৌন্দর্য তারা উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া থাকার ব্যবস্থা তো রয়েছেই।