Durga Puja 2024: দূষণের গ্রাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই দিন দিন নিজেদের অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখা হয়ে উঠছে কষ্টকর। অথচ এই জগতের প্রানদায়ী প্রকৃতিকে জেনেশুনেই অবহেলা করে চলেছে এই সভ্যতা। মায়ের আরাধনা প্রকারান্তরে প্রকৃতিরই আরাধনা। এবার লালাবাগান নবাঙ্কুরের (Lalabagan Nabankur) থিম তাই ‘লালাবাগানে নবাঙ্কুর’। বিখ্যাত শিল্পী প্রশান্ত পালের ছোঁয়ার সবুজ কুঁড়ির পরশে সেজে উঠবে লালাবাগানের এবারের পুজো।
মহামায়া ও প্রকৃতির ভাবনা
বৈদিক যুগে শুধুমাত্র ঘটস্থাপন করে পুজো করা হত মহামায়ার (Durga Puja 2024)। পরে নবপত্রিকা রীতিতে পুজো চালু হয়। কারণ মহামায়া মানেই তো আমাদের ধারক ও বাহক এই বিশদ প্রকৃতি। সেই প্রকৃতির পুজো উদ্ভিদের উপস্থিতিই স্বাভাবিক। কিন্তু পরবর্তীকালে মূর্তি সেই স্থান দখল করে নিল। নবপত্রিকা পুজোর একটি অঙ্গ হিসেবে প্রতিভাত হতে লাগল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহামায়া তথা মা দুর্গার নেপথ্যে থাকা প্রকৃতির ভাবনা কিছুটা আবছা হয়ে গিয়েছে। সেই আবছা ভাবনাকেই প্রকট ও প্রধান করে ফুটিয়ে তুলতে চায় লালাবাগানের এবারের পুজো আয়োজন।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2024: বর্ধমানের এই পুজোর থিম এবার জম্মু-কাশ্মীরের মন্দির! কোন চমক রয়েছে দর্শকদের জন্য?
উদ্ভিদময় মণ্ডপ
পুরো প্যান্ডেলটাই এবার গাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলে রয়েছে নবাঙ্কুর অর্থাৎ নতুন অঙ্কুরের উপস্থিতিও। লালাবাগান নবাঙ্কুরের পুজোর অন্যতম এক উদ্যোক্তার কথায়, ‘হলফ করে বলতে পারি, এমন পুজো এর আগে কেউ দেখেননি।’ সবুজে উদ্ভিদে ছয়লাপ এই মণ্ডপের অভিনব উপস্থাপনা এবার সকল দর্শকের মনেই ছাপ রেখে যাবে বলে বিশ্বাস উদ্যোক্তাদের। উদ্যোক্তাদের কথায়, নতুন কিছু শুরু করতে গেলে আমরা যে নব উদ্যম জাগিয়ে তুলি, তারই প্রতিফলন হবে এবারের পুজো মণ্ডপে (Durga Puja)।
‘লালাবাগানে নবাঙ্কুর’
লালাবাগান নবাঙ্কুরের পুজোয় ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় সাড়ে সাতশো গাছ। নার্সারিতে রেখে এই গাছগুলিকে বড় করে মণ্ডপ নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছে। লালাবাগান নবাঙ্কুরের পুজো উদ্বোধনেও রয়েছে অভিনবত্ব (Durga Puja 2024 Theme)। পুরুলিয়ায় রুক্ষ মাটিতে দিনের পর দিন চারাগাছ রোপণ করে একটি আস্ত জঙ্গল গড়ে তুলেছেন দুখু মাঝি। পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি তাঁর এই অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত দুখু মাঝিই লালাবাগান নবাঙ্কুরের এবারের পুজোর উদ্বোধক।