সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আক্ষরিক অর্থেই খাদের কিনায়ার ঠেলে দিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফের আরও একটু কাছে এগিয়ে গেল গুজরাট টাইটানস। টাইটানসের কাছে হারের পরে খাতায়-কলমে লড়াইয়ে টিকে রইল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে তাদের আশা নিতান্ত ক্ষীণ হয়ে দাঁড়ায়। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলি সানইজার্সের কাছে ডু-অর-ডাই হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সব ম্যাচ জিতলেও সানরাইজার্সের প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত নয়। তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির দিকে।
শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর ৫১তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গুজরাট টাইটানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হোমটিম গুজরাট। যথারীতি সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন ক্যাপ্টেন শুভমন গিল।
দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি শুভমন গিলের
গুজরাট দলনায়ক ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৩৮ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিতর্কিতভাবে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন গিল। এমন আগ্রাসী ইনিংসে শুভমন ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৪৮ রান করে আউট হন। তিনি ৯টি চার মারেন। জোস বাটলার ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৩৭ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। ওয়াশিংটন সুন্দর ২১, শাহরুখ খান ৬ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ৬ রানের যোগদান রাখেন। শূন্য রানে আউট হন রশিদ খান। গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২২৪ রান সংগ্রহ করে।
হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন জয়দেব উনাদকাট। তিনি ৩টি উইকেটই নেন ইনিংসের শেষ ওভারে। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন জীশান আনসারি ও প্যাট কামিন্স। শামি ৩ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রানে আটকে যায়। গুজরাট টাইটানস ম্যাচ জেতে ৩৮ রানের ব্যবধানে। এই জয়ের সুবাদে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে গুজরাট। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরেই থেকে যায় হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের হয়ে একা লড়েন অভিষেক শর্মা
সানরাইজার্সের হয়ে ৪১ বলে ৭৪ রান করেন অভিষেক শর্মা। তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। তিনি একা লড়াই চালান বলা যায়। ট্র্যাভিস হেড ২০, ইশান কিষান ১৩, এনরিখ ক্লাসেন ২৩ ও অনিকেত বর্মা ৩ রানে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। নীতীশ রেড্ডি ২১ ও প্যাট কামিন্স ১৯ রানে নট-আউট থাকেন।
আরও পড়ুন:- 4,0,4,4,4,4- শামি কি ক্লাব পর্যায়ের বোলার? দু-একটি নয়, ওভারে ৫টি চার মারলেন সাই সুদর্শন
গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা ও মহম্মদ সিরাজ। ১টি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা ও জেরাল্ড কোয়েটজি। ৩ ওভারে ৫০ রান খরচ করেও উইকেট পাননি রশিদ খান। ম্যাচের সেরা হন প্রসিধ কৃষ্ণা।