২০২৩ সালে ৫০০ কোটির হ্যাট্রিক করবেন শাহরুখ খান, এমনটাই ভেবে রেখেছিল অনুরাগীরা। তবে সে আশায় খানিক হলেও জল ঢেলেছে ডাঙ্কি। কারণ পাঠান বা জওয়ান ঘিরে যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল চারিদিকে, তা মিসিং ছিল ডাঙ্কির ক্ষেত্রে। রাজকুমার হিরানির হালকা মেজাজে গল্প বলা, হাসি-কান্নায় ভরা সিনেমা যেন কোথাও গিয়ে মার খেয়ে গেল আগের অ্যাকশন ফিল্মগুলোর কাছে। আর এই মারপিটকে হাতিয়ার করেই এগিয়ে গেল সালার।
Sacnilk.com-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে দ্বিতীয় বুধবারে শাহরুখ খানের ছবির আয় হল ৩.৩০ কোটি। আর সেখানে সালার ঘরে তুলল ৫ কোটির কাছাকাছি।
আপাতত ২৫ জানুয়ারি ফাইটার মুক্তি পাওয়ার আগে অবধি অনেকটাই লম্বা সময় পাবে দুই ছবি। বড় কোনও রিলিজ নেই এই মুহূর্তে। আর তাই সালার-এর ৫০০ কোটি হওয়া আটকানো মুশকিল। এদিকে ডাঙ্কি আর সালারের মাঝেও ব্যবসা করছে চুপিচুপি অ্য়ানিম্যাল। যদিও ছবির রোজের আয়ের পরিমাণ কোটি থেকে নেমে এখন লাখের ঘরে। তবে ২০২৩ সালের সর্বাধিক উপার্জিত বলিউড ছবির লিস্টে দু নম্বরে জায়গা পাকা করে নিয়েছে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সিনেমা, আগে আছে জওয়ান।
ডাঙ্কি খাতাই খুলেছিল বেশ কম অঙ্কে। প্রথমদিনের আয় ছিল ২৯ কোটি। তার একদিন পর মুক্তি পেয়ে সালার খাতা খোলে ভারতে ৯০ কোটি দিয়ে। মোট আয়ের হিসেবে ১৪ দিনে ডাঙ্কির আয় ২০৩.৯২ কোটি। অন্য দিকে, ১৩ দিনে সালার টপকে গিয়েছে ৩৭০ কোটি।
আসছে ফাইটার
গত কয়েক বছর ধরেই অ্যাকশন ফিল্ম আলাদা জায়গা করে নিয়েছে বাজারে। আর তাতে যদি থাকে দেশপ্রেমের খোঁচা, তাহলে তো কথাই নেই। ফাইটার হিট হওয়া নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে দীপিকা পাড়ুকোন আর হৃতিক রোশনের অনুরাগীরা। এই ছবিতে আরও রয়েছেন অনিল কাপুর। পরিচালনা করেছেন পাঠান পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। ইতিমধ্যেই চর্চায় হৃতিক আর দীপিকার কেমিস্ট্রি। ছবির আইটেম সং ‘ইশক য্যায়সা কুছ’-ও আগুন ধরিয়েছে।
জানা গিয়েছে 'ফাইটার'-এর বেশিরভাগ অ্যাকশন থাকবে আকাশে, যা আগে কখনও ভারতীয় ছবিতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি সিদ্ধার্থকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ফাইটারের রান টাইমের গুজব। আসল রান টাইম ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে।' এই ছবিটির প্রযোজনা করেছে ভায়াকম ১৮ স্টুডিয়ো এবং মারফ্লিক্স পিকচার্স। ওয়ার এবং ব্যাং ব্যাং-এর পর এই ছবিতে ফের জুটি বেঁধেছেন হৃতিক এবং সিদ্ধার্থ।