একাধিকবার ভারত ভ্রমণে এসেছেন হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ব্র্যাড পিট। প্রতিবারের ভারত সফর তাঁর হৃদয়ে ভালোলাগাকে যে আরও একটু বাড়িয়েছে সেকথাও একাধিকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন হলিউডের এই অস্কার বিজয়ী অভিনেতা। ২০০৬ সালে ব্র্যাড প্রথমবার ভারতে আসেন তৎকালীন বান্ধবী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জলিনা জোলির সঙ্গে ' আ মাইটি হার্ট ' ছবির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিকোয়েন্সের শ্যুটিং সারার জন্য।সেবারে দু'জেনে পাপারাৎজিদের ক্যামেরার লেন্সকে ফাঁকি দিয়ে দিব্যি মুম্বইয়ের রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন।সেবারই এই সফর সমন্ধে অভিনেতা জানিয়েছিলেন এই দেশের বৈচিত্রে তিনি মুগ্ধ। এই ধরণের দেশ যে তিনি আগে কখনও দেখেননি সে বিষয়েও অকপট হয়েছিলেন ' ফাইটক্লাব ' অভিনেতা। সেবারে ভারতে দীপাবলি উৎসবেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাকেও ' দুর্দান্ত ' আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে অস্কারপ্রাপ্ত ছবি ' দ্য কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন ' ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য বেনারসে আসেন এই হলি-তারকা। ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত ওই ছবিতে দেখা গেছিল ব্র্যাড অভিনীত চরিত্রটি বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছে। সেই তালিকায় অন্যতম ' স্পট ' ছিল বেনারস।

ছবিতে বেনারসের অংশের শ্যুটিং পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছিলেন তারসেম সিং।পরবর্তী সময়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্র্যাড জানিয়েছিলেন ভারতের বিস্ময়কর পরিবেশ তাঁকে প্রতিবার বিস্মিত করে।তবে বেনারস দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। বেনারসের পরিবেশ সম্ভ্রম জাগিয়েছিল তাঁর মনে।এখানেই না থেমে এই শহর সমন্ধে বলতে গিয়ে ব্র্যাড বলেছিলেন যে তিনি জেনেছিলেন বেনারস শহর এতটাই পবিত্র যে বহু মানুষ এখানে তাঁদের জীবনের শেষ কটাদিন কাটাতে চলে আসেন। গোটা বিষয়টা তাঁর বিস্ময়বোধকে এক লহমায় বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকটাই।
উল্লেখ্য,শেষবার ভারতে এসেছিলেন ব্র্যাড ২০১৬ সালে। সেবার অবশ্য মুম্বইয়ে ছিলেন তিনি।ভারতীয় কুইজিনের মধ্যে যে তাঁ রচিকেন মশলা,ডাল আর নান অন্যতম প্রিয় খাবার সেকথাও জানিয়েছিলেন তিনি।