সন্ধ্যার জীবনে যেন সুখ এসেও এল না। সবে তার অ্যাক্সিডেন্টের সময় সে আর আকাশনীল কাছাকাছি আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু তার মধ্যে নীল জেনে যায় যে তারা আসলে সন্ধ্যার বোন, আর সে দিদির সুখের কথা ভেবে আকাশনীলকে ঠকিয়েছে। এরপরই সে বদলা নেওয়ার জন্য, থুড়ি দুই বোনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁর সাজানো প্রেমিকা নয়নতারাকে বাড়ি নিয়ে আসতে চলেছে। এই চরিত্রে এবার দেখা যেতে চলেছে উমা ওরফে শিঞ্জিনী চক্রবর্তীকে। অভিনেত্রীকে এর আগে পঞ্চমী ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল। এবার তিনি এন্ট্রি নিচ্ছেন এখানে। এটাও কি আবার নেতিবাচক চরিত্র? HT বাংলাকে কী জানালেন শিঞ্জিনী?
উমার পর সোজা খলনায়িকা, এই চেঞ্জটা কেন?
শিঞ্জিনী: উমা করতে করতেই আমি জানতাম আমি কী করব। আমি অনেক রকম চরিত্র করতে চাই। আমি পাগলের অভিনয় করতে চাই, নেতিবাচক অভিনয় করতে চাই, সব কিছুই। আর সব ধরনের চরিত্র করতে গেলে নিজেকে ভাঙতে হয়। আর আমি সেটা খুব উপভোগ করি। নিজেকে রোজ ভাঙি, রোজ নতুন করে চেষ্টা করি। আমি ঠিক এটাই করতে চেয়েছিলাম।
অনেকেই নায়িকার পর খলনায়িকার চরিত্র করতে চান না, আপনি সেটা করলেন, ভয় লাগেনি?
শিঞ্জিনী: না, আমি নায়িকা-খলনায়িকা এসব বুঝি না। আমি কেবল চরিত্র বুঝি। এই জন্য উমার পর অনেকটা বিরতি নিয়েছিলাম। তারপর চিত্রার মতো গ্ল্যামারাস চরিত্র পেয়ে রাজি হই। আমি অনেক ছোট থেকেই রূপকথার চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কখনও অভিনয় করলে এমন চরিত্রের সুযোগ পেলে করব। পঞ্চমীতে কালনাগিনীর চরিত্র পেলাম, করলাম।
সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকেও কি আপনার চরিত্রটা নেতিবাচক?
শিঞ্জিনী: এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আকাশনীল তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তারা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা দুজনকে একসঙ্গে শায়েস্তা করতে আমায় নিয়ে আসছে। একটা মজার চরিত্র, কিন্তু পজিটিভ বা নেগেটিভ সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
পঞ্চমী ধারাবাহিকে সুস্মিতার সঙ্গে পর্দায় চুলোচুলি, আর অফস্ক্রিন দারুণ বন্ধুত্ব, এটা ব্যালেন্স করতে অসুবিধা হয়নি কখনও?
শিঞ্জিনী: না না, এটা আমাদের কাজের অংশ। অ্যাকশন বলা মাত্রই আমরা চরিত্রে ঢুকে পড়ি। এটা সাইকোলজি বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: সৌম্য নন, তাঁকে পাঠানো প্রেম প্রস্তাব পৌঁছয় গায়কের হবু স্ত্রীর কাছে!
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান আইডলে দৃষ্টিহীন প্রতিযোগীর গলায় ভক্তিগীতি, শুনেই কান্নায় ভাসলেন শ্রেয়া
নায়িকা, খলনায়িকা দুই ধরনের চরিত্র করে ফেলেছেন, কোনটায় কেমন প্রতিক্রিয়া পেলেন?
শিঞ্জিনী: দর্শকরাই শেষ কথা বলেন। আর তাঁদের থেকে দুটো চরিত্রের জন্যই ভীষণ ভালোবাসা পেয়েছি। উমার জন্য যেমন সকলে প্রশংসা করেছিল, চিত্রার জন্যেও অনেকেই ফোন করে জানিয়েছেন কী ভালো লাগছে, খুব সুন্দর। ফলে আমি কৃতজ্ঞ যে দর্শকদের আমার দুটো চরিত্রই ভালো লেগেছে।