আদালতের হস্তক্ষেপের পর রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ এপ্রিল প্রচারের কৌশল নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাই কোর্ট নির্বাচনের সময়ে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে জবাব চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিল নির্বাচন কমিশন।রাজ্যে বর্তমানে ৮ দফায় নির্বাচন চলছে। এরমধ্যে ৪ দফায় নির্বাচন হয়ে গেছে।একদিকে যেমন নির্বাচনী পর্ব চলছে, অন্যদিকে তেমনি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে। তারমধ্যেই চলছে মিটিং, মিছিল ও রোড শো। বিভিন্ন সভা সমাবেশে মানুষ সামাজিক দুরত্ব তো দূরের কথা, মাস্ক পরাও প্রয়োজন মনে করছেন না। এই পরিস্থিতি কী করণীয়, তা আলোচনা করতেই রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে চান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই বৈঠকে যোগ দানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সভা, সমাবেশের বিকল্প কোনও পথ বেছে নেওয়া হতে পারে?ভার্চুয়াল সভা কি হতে পারে? এই সব প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে।নির্বাচন কমিশনের তরফে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে যেন একজন করে প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগ দেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সভা, জনসমাবেশে ভিড় রুখতে জেলাশাসক ও কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা যেতে পারে।কমিশন এই বিষয়ে কী ভাবছে তা আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে বলেছে আদালত।তাই আর আগে এই সর্বদল বৈঠক।