লোকসভা নির্বাচনের দিনগুলিতে সরকারি ছুটি থাকবে রাজ্যে। আজ, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল নবান্ন। অর্থাৎ যে কেন্দ্রগুলিতে যেদিন নির্বাচন থাকবে সেই কেন্দ্রগুলিতে সেদিন সরকারি কর্মীরা সবেতন ছুটি পাবেন। নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এই কথার উল্লেখ রয়েছে। বেসরকারি কর্মীদেরও ওই দিনগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে এটা নিয়ে একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে সূত্রের খবর। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট সাত দফায় হবে ভোট। গণনা হবে ৪ জুন। এই গোটা সময়ে সরকারি কর্মীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাঁরা যাতে ভোট দিতে যেতে পারেন, তাই এবার ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
এদিকে শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনে নয়, উপনির্বাচন থাকলেও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অফিস, স্কুল বন্ধ রাখা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন যে এলাকায় ভোট সেই এলাকার সব অফিস কাছারি, স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকবে। যেমন, ১৯ মে প্রথম দফার ভোট। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তাই সেখানের সব অফিস কাছারি বন্ধ থাকবে। শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিক কারখানা বা চা–বাগানে কর্মরত শ্রমিকরাও ভোট দিতে যেতে পারবেন। যাঁরা নিজের কেন্দ্রের বাইরে অন্য কোথাও কাজ করেন, তাঁরা বিশেষ ছুটি নিয়ে ভোট দিতে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘আমার বাংলায় একসঙ্গে সবাই যেন ভাল থাকতে পারি’, ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতারে মমতা
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে স্কুলগুলিকে ভোটকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের আগের দিনে স্থানীয় ছুটি দিতে হবে। ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের যদি মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়, তাহলে ভোটের পরদিন তাঁদের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে। এমনকী কোনও বুথে যদি পুনর্নির্বাচন হয় তাহলে সেদিনও ওই এলাকার সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন। ভোটদানে উৎসাহ দিতেই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেতন কাটার আশঙ্কা থেকে যাতে কোনও সরকারি কর্মচারী ভোটদানে অনুপস্থিত না থাকেন তাই সবেতন ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।