আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এর বড় ম্যাচ অর্থাৎ ফাইনাল আজ অর্থাৎ রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন চ্যালেঞ্জের দেবে টিম ইন্ডিয়া। একদিকে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে চায় টিম ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চায় অস্ট্রেলিয়া। ঘরের কন্ডিশন সহ এই ম্যাচে ১,৩০,০০০ ক্রিকেট ভক্তের সমর্থন পাবে টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে সমর্থন করতে স্টেডিয়ামে পৌঁছতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এই মুহূর্তে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কপিল দেব। এ আগে এই দুই তারকার হাত ধরে আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।তবে এবারের বিশ্বকাপের সময়ে এই দুই অধিনায়কের দলের সঙ্গে রোহিতের দলের তুলনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে কোন দল বেশি শক্তিশালী ও সফল। এখনও পর্যন্ত সুনীল গাভাসকরের মতো বিশেষজ্ঞরা কপিল দেবের দলকেই এগিয়ে রেখেছেন। তবে একটি স্ট্যাট সকলকে অবাক করে দিতে পারে। কারণ শুধু ধারে ভারে নয়, সব দিক থেকেই রোহিত শর্মার দল যে ১৯৮৩ ও ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী দলকে পিছনে ঠেলে দিতে পারে তা এই তথ্য দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। রোহিতের টিম ইন্ডিয়া যে চলতি বিশ্বকাপে রেকর্ডের দিক থেকে বাকি নয়টি দলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে ফাইনালে উঠেছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই রেকর্ড-১) এমনিতেই টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে ভারত। যেটা আর কোনও দল করতে পারেনি।২) এবারে ফাইনালের ম্যাচ শুরুর আগে পর্যন্ত ভারত সংগ্রহ করেছে ২৮১০ রান। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ২৭৭৩ রান।৩) ব্যাটিং গড়ের দিক থেকেও শীর্ষে রয়েছে ভারত। রোহিতদের ব্যাটিং গড় ৫৮.৫৪। এরপরে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। তাদের ব্যাটিং গড় ৪১.০৯।৪) ব্য়াটিং স্ট্রাইক রেটেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। রোহিতদের ব্য়াটিং স্ট্রাইক রেট হল ১০৪.৬৫। এরপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের ব্য়াটিং স্ট্রাইক রেট হল ১০৩.২৩।৫) ৫০ এর বেশি স্কোর ২৩ জন করেছেন। যেখানে নিউজিল্যান্ডের ২০ জন ক্রিকেটার ৫০ এর বেশি স্কোর করেছে।৬) উইকেট শিকারে দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। এবারের বিশ্বকাপে ভারত শিকার করেছে ৯৫টি উইকেট। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে এবং তারা ৮৮টি উইকেট শিকার করেছে।৭) বোলিং গড়েও টপে রয়েছে ভারত। ২০.৯০ গড়ে বোলিং করেছে ভারত। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই নম্বরে রয়েছে, এবং তাদের বোলাররা ২৬.৪০ গড়ে বল করেছে।৮) বোলিং স্ট্রাইক রেটের দিক থেকেও বেশ কৃপণতা দেখিয়েছেন শামি-বুমরাহরা। ২৬.৫ বোলিং স্ট্রাইক রেটে রান খরচ করেছেন তারা। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ২৯.১ স্ট্রাইক রেটে বল করেছেন।৯) ভারতীয় বোলাররা ৪.৭২ ইকোনমি রেটে বল করেছেন, যেখানে আফগানিস্তান দুই নম্বরে রয়েছে এবং রশিদ-নবিরা ৫.৩৫ ইকোনমি রেটে বল করেছেন।এই তালিকায় কোনও জায়গাতেই অস্ট্রেলিয়াকে দেখা যাচ্ছে না। ফলে বলা যেতেই পারে ফাইনালে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া।