ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট টাইটানসের অধিনায়কত্ব ছেড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছেন। এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেউ টাকার পিছনে দৌড়ানোর জন্য হার্দিককে একহাত নিয়েছে তো কেউ কেউ আবার তার পুরোনো দলে ফিরে আসায় আনন্দ প্রকাশ করেছে। এখন এমন একটি নিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে যে কারণে হার্দিক পান্ডিয়া খারাপভাবে ফেঁসে যেতে পারেন। শুধু ফাঁদে পা দেওয়া নয়, এক বছরের জন্য আইপিএল থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। এতদিন ভক্তরা এ সব প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে এখন কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রাক্তন ডিরেক্টরও এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
১৩ বছর আগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়ার এই পদক্ষেপকে নিয়ম অনুসারে ভুল বলে বিবেচনা করেছিলেন জয় ভট্টাচার্য। এবং তিনি এই বিতর্কটি উত্থাপন করে বলেছিলেন এই রকম ঘটনা আগেও আইপিএলে হয়েছিল। এই রকম একটা কারণের জন্য রবীন্দ্র জাদেজাকে ১৩ বছর আগে পুরো মরশুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কারণ ২০১০ সালে রবীন্দ্র জাদেজাও এমন কিছু করেছিলেন। সেই সময়ে রবীন্দ্র জাদেজা আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের অংশ ছিলেন। তিনি ট্রেডিং প্রক্রিয়া চলাকালীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু রাজস্থান চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তাঁকে ধরে রেখেছিল। সেখানে জাদেজা এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর আইপিএলের তৎকালীন ম্যানেজমেন্ট কমিটি জাদেজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
হার্দিক পান্ডিয়া কেন সমস্যায় পড়তে পারেন?
হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। হার্দিক পান্ডিয়ার নাম গুজরাট টাইটানসের ধরে রাখার তালিকায় থাকলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেন হার্দিক। এ প্রসঙ্গে জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা টুর্নামেন্টের জন্য খুব একটা ভালো দৃষ্টান্ত, কারণ ২০১০ সালেও একই রকম কিছু ঘটেছিল এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই ধারা অব্যাহত রাখলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। আপনি ২০১০ সালে এটি বন্ধ করেছেন এবং এখন আপনি এটিকে উৎসাহিত করেছেন। তাই আমি মনে করি না যে একজন বড় খেলোয়াড়ের জন্য এই প্রবণতা শুরু করা ভালো ধারণা হতে পারে।’