Mohammad Hafeez and Shahid Afridi on PCB chairman Post: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মাঝে মাঝেই জাতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও বিশ্লেষকদের সমালোচনার মুখে পড়ে। এটা অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়। তবে এবার যেটা হল সেটা সব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি, প্রাক্তন অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ পাকিস্তান দলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং কিছু বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মহম্মদ হাফিজ সম্প্রতি এক্স (পূর্বের টুইটার)–এ একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটকে প্রভাবিত করা একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এক ভক্ত তাঁকে পিসিবির ক্রিকেট সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের নিয়োগ সবসময় রাজনৈতিক পটভূমির ওপর নির্ভর করে... বাকিদের ব্যাপারে জানি না।’
নিজের কোচিং ভূমিকা থেকে বিরত থাকার কারণও স্পষ্ট করে দেন হাফিজ। কিছুদিন আগে জাতীয় দলের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। মহম্মদ হাফিস বলেন, ‘আমি এখন ‘মাইনাস ওয়ান’, এবং আমি সেটা উপভোগ করছি।’
আরও পড়ুন … সঞ্জুর সঙ্গে কি দ্রাবিড়ের ঝামেলা শুরু হয়েছে? অবশেষে মুখ খুললেন RR-র কোচ
আলোচিত ব্যাটার বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল, যাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে বিতর্ক চলছে। তাদের পক্ষে সাফাই দিয়ে হাফিজ বলেন, ‘বাবর ও রিজওয়ান মানসম্পন্ন খেলোয়াড়, যারা পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ জেতানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ওদের শুধু নিজেদের স্কিল ও অ্যাপ্রোচ আপগ্রেড করতে হবে যেন আরও প্রভাব ফেলতে পারে। ওদের সেই প্রতিভা আছে।’ সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পিসিবির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে।
সামা টিভিতে সাংবাদিক শাহিদ হাশমি এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেন যা রীতিমতো আলোড়ন তোলে। তিনি বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কিউরেটরকে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল বিক্রি করতে হয়েছে। করাচির কিউরেটর আবার জাতীয় স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চাঁদা তুলেছেন।’
শাহিদ আফ্রিদিও সমালোচনা করেছেন। পিসিবির বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। সাংবাদিকদের শাহিদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমার যদি প্রভাব থাকত, আমি আজ পিসিবি চেয়ারম্যান হতাম। আমাদের সময় দলে অনেক ম্যাচ উইনার ছিল — এখন আর সেরকম কেউ নেই।’
আরও পড়ুন … ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ট্রফি গ্রহণ ক্রীড়ামন্ত্রীর! আদৌও সেটা হয়? কী আছে ফিফার প্রথায়?
পাকিস্তানের গ্রাসরুট ক্রিকেট নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আন্ডার-১৬, ১৭, ১৯ স্তরে খেলোয়াড়দের শেখাতে হয়। নীচু স্তরে দক্ষ মানুষ দরকার যারা এদের ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারবে।’ তিনি হাফিজের মতো একই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন, ‘যদি ঘরোয়া ক্রিকেট কোনও আমলার হাতে তুলে দাও, তাহলে কেউই ক্রিকেট বুঝবে না। প্রতিটি পিসিবি চেয়ারম্যানই রাজনৈতিক প্রভাব থেকে আসে। শুধু চেহারা বদলালেই সিস্টেম বদলাবে না।’