একটা সময় ছিল যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি যাই করত, তাই মনে হত সব ঠিক করছেন তিনি। সেটা টি২০ বিশ্বকাপ হোক বা ৫০ ওভারের ফরম্যাট, কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে ত্রিদেশিয় সিরিজ জেতা। কিন্তু সেই ধোনির সঙ্গে বর্তমান ধোনির অনেক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে মাহির বয়স ৪৩ বছর, আর তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংস একদমই ভালো পারফরমেন্স করতে পারছে না। এবারে ইতিমধ্যেই ১০টা ম্যাচে হেরেছে সিএসকে। ছয় বছর হতে চলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে, তাই একপ্রকার পার্ট টাইম ক্রিকেটার হিসেবে ধোনি ক্যাপ্টেন্সির কাজটা অভিজ্ঞতা দিয়ে চালিয়ে দিলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ব্যাটিং পারফরমেন্স গ্রাফ কিন্তু নিম্নমুখী।
মহেন্দ্র সিং ধোনি যে নিজের সেরা সময় পেরিয়ে এসেছেন, সেটা বোঝার জন্য আইপিএল ২০২৫ হচ্ছে স্পষ্ট উদাহরণ। কারণ ১-২ মাস অনুশীলন করে যে আইপিএলের মতো এত উচ্চমানের ক্রিকেট লিগে খেলা যায়না, সেটাই বোঝা গেছে ধোনির পারফরমেন্সে। দল যে শুধু লিগ টেবিলের তলানিতে রয়েছে তাই নয়, ১৩ ম্যাচে ধোনিও করেছেন মাত্র ১৯৬ রান। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করেন এমএসডি।
চেন্নাই সুপার কিংসের দলগঠনে যে গলদ রয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। কারণ রাহুল ত্রিপাঠী বা বিজয় শঙ্করকে দিয়ে যে আইপিএল জেতা যায়না, সেটা একটা নতুন ক্রিকেট বুঝতে শেখা ভক্তও বলে দিতে পারে। যদিও ধোনিকে সিএসকে যদি এভাবেই রেখে দেয়, তাহলেও যে সেটা চেন্নাইয়ের জন্য খুব একটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে, তেমনটা মনে করেন না প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঙ্গার বলছেন, ‘৪৩ বছর বয়সে প্রতিযোগিতামুলক ক্রিকেট খেলা খুবই কঠিন। শুধু এই ধরণের ক্রিকেটই নয়, যদি ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলে কেউ, তাহলেও সেটার জন্য শরীরে অনেক ধকল পড়ে। আমি যদি ধোনির জায়গায় থাকতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম যে এবার সময় হয়ে এসেছে। আমি যতটা খেলার খেলে নিয়েছি, এবার ফ্র্যাঞ্চাইজির ভালো চাইতে হবে। যদি কেউ ভাবে, সে দলে থাকার জন্য ট্রানজিশনটা দ্রুত হবে, তাহলে সেটা ঠিক নয়।কারণ সব কিছু এভাবে সময় মতো হয় না। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও নিজের মতো করে বাড়তে দেওয়া উচিত এবং ভবিষ্যৎকে তৈরি করতে দেওয়া উচিত। ’।
২০২০, ২০২২, ২০২৪ এবং ২০২৫, এই নিয়ে গতবার ছয় বছরে চারবার সিএসকে প্লে অফে উঠতে পারল না। তবে তাঁরা ২০২১ এবং ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে আইপিএলে। তাই ধোনির ওপরই টিম ম্যানেজমেন্ট অগাধ ভরসা রাখছে। তবে ২০২০তে অবসর নেওয়ার পর ২০২১-এ সিএসকে-কে চ্যাম্পিয়ন করা ধোনির সঙ্গে যে এখনকার এমএসডির অনেক পার্থক্য রয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।