দুরন্ত লড়াই করলেন পঞ্জাব কিংসের দুই অনামী তারকা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। শশাঙ্ক সিং (২৫ বলে অপরাজিত ৪৬) এবং আশুতোষ শর্মার (১৫ বলে অপরাজিত ৩৩) সব লড়াই ব্যর্থ হয়ে যায়, দল মাত্র ২ রানে হেরে যাওযায়। তাঁরা দলকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ হাসি হাসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদই। প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ রান করেছিল সানরাইজার্স। রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাব করে ১৮০ রান।
শশাঙ্ক-আশুতোষের হার না মানা লড়াই
জিততে শেষ চার ওভারে ৬৭ রান প্রয়োজন ছিল পঞ্জাবের। সেই সময়ে হায়দরাবাদের জয় নিশ্চিত বলে মনে হয়েছিল। তবে শশাঙ্ক ও আশুতোষ হার মানেননি। তাঁদের মানসিক জোর এবং হার না মানা মানসিকতাতেই ১৮০ রানে পৌঁছে যায় পঞ্জাব কিংস।
আরও পড়ুন: হর্ষদের টেক্কা দিতে এসে গেল MI-এর খুদে ভক্ত, হার্দিককে দেওয়া টিপস শুনলে হেসে খুন হবেন!
শশাঙ্কা এবং আশুতোষ মিলে তখন হায়দরাবাদের বোলারদের পিটিয়ে একেবারে ছাতু করেন। শেষ দুই ওভারে জিততে হলে ৩৯ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু টি নটরাজন ১৯তম ওভারে মাত্র ১০ রান দেন। তবে শেষ ওভারে জয়দেব উনাদকাটকে পিটিয়ে ২৬ রান নেন পঞ্জাবের এই দুই অনামী ক্রিকেটার। এই ওভারে তিনটি ক্যাচ মিস করে হায়দরাবাদ। তিনটি ওয়াইড বল হয়। সঙ্গে হয় তিনটি ছক্কাও। উনাদকাট সর্বকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ২০তম ওভারটি বল করার নজির গড়েন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে বসে পঞ্জাবই।
তবে দল না জিতলেও, ম্যাচের পর এই জুটির লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেন পিবিকেএস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। তিনি বলেন, এই জুটির ২৭ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস তাদের জয়ের আশা পুনরুজ্জীবিত করেছিল।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- সকলকে অবাক করে রাসেলের লোপ্পা ক্যাচ ফেললেন ধোনি, বয়সের জেরেই কি এমন ভুল?
শিখর বুঁদ শশাঙ্ক-আশুতোষের ইনিংসে
ধাওয়ানের দাবি, ‘এই তরুণদের লড়াই দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা এই হার থেকে ঘুরে দাঁড়াব। মনে হয়েছিল যে, ওরা খেলাটি হয়তো জিতিয়ে দিতে পারবে। তবে ওদের হ্যাটস অফ, ওরা ইনিংসটিকে জয়ের লক্ষ্যের একেবারে কাছে নিয়ে গিয়েছিল। যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এবং পরের ম্যাচ জেতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে আরও ভালো করতে হবে এবং উন্নতি করতে হবে।’