ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন গতবছর জুলাই মাসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। আপাতত তিনি প্রাক্তন নন, বর্তমান ক্রিকেটারই রয়েছেন। অর্থাৎ এখনও তিনি অবসর নেননি ক্রিকেট থেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে অবসর নিতে হয়েছে, সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। যেমন টেনিসে রজার ফেডেরার, তেমনই ক্রিকেটে জেমস অ্য়ান্ডারসন বারবার বয়সকে হার মানিয়েছেন। ৪২ বছর বয়সী এই তারকা বলছেন, তাঁকে যখন অবসর নেওয়ার কথা বলা হয় তখনও পর্যন্ত তিনি এই বিষয়ে কোনও কথা ভাবেননি। অন্ততপক্ষে আরও ২ বছর টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ারও ইচ্ছা ছিল তাঁর।
অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘আমি এখনও অবসরের বিষয়টা নিয়ে একটু দোলাচলে রয়েছি। আসলে পরিস্থিতি তখন আমার হাতে ছিল না। ওরা আমায় দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। তাই সেই সময় অন্য কিছু করারও ছিল না। আমি অবসর নেওয়ার কথা ভাবতাম আরও ছয় মাস, কি এক বছর বা দেড় বছর পর। কিন্তু সেই সময় আমার মনে অবসরের কোনও ভাবনাই ছিল না। আমার মধ্যে সেই সময় খেলার ইচ্ছা বা খিদেটা ছিল, ট্রেনিং করতে, নিজের দক্ষতার জানান দিতে তখনও মুখিয়ে ছিলাম ’।
মে মাসে টেস্টে ৭০০ উইকেটের মালিকের সঙ্গে ইসিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং বেন স্টোক্স বৈঠক করে জিমিকে জানিয়ে দেন, যে তাঁকে আর টেস্টে নেওয়া হবে না। এরপরই জিমি অ্যান্ডারসন টেস্ট থেকে অবসর নেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জুনে শেষ টেস্ট খেলেন। এরপর ইংল্যান্ডের সঙ্গে বোলিং মেন্টর হিসেবে থাকলেও তিনি কাউন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যান। নিজের মেন্টর হওয়া প্রসঙ্গতে অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরই দল ছেড়ে দিতাম, তাহলে আমার জন্য বিষয়টা খুব কঠিন হত। তাই দলের সঙ্গে থাকতে, ড্রেসিংরুমে থাকার জন্যই আমি দলের সঙ্গে থেকে যাই। সেই সময়ের আমার অভিজ্ঞতাটা আমি বলে বোঝাতে পারব না, কারণ আমি কখনও অবসর নিয়ে চিন্তাই করতে পারিনি সেই সময় পর্যন্ত। তবে শেষ দিনে প্রচুর মানুষের সমাগম দেখেছিলাম ’।
আর সুযোগ এলে কি ফিরবেন ইংল্যান্ড দলে? জিমি আশা রাখছেনই না ফেরার। তবুও যদি ডাক আসে কি করবেন? জিমি বলছেন, ‘সত্যি কথা বলছি, ইংল্যান্ড দলের দরজা আমার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। আমি যদি ডাক পাই তাহলে নিশ্চয় আমি সেটা নিয়ে ভাবব, কিন্তু আমি জানি সেটা কোনওদিন হবে না। আমার মনে হয়, অনেকের চোট লাগার পরই একমাত্র আমার কথা ভাবা হতে পারে, নাহলে আমি টেস্ট দল থেকে অনেক দূরেই থাকছি ’।