মঙ্গলবার দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতকে জিতিয়ে মাঠের মধ্যে বিজয় উৎসব পালন করতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি ৮৪ রান করে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে ড্রেসিংরুমের মধ্যে সেলিব্রেশনের কোনও কমতি রাখেননি কোহলি।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের ৪৩ রানে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। দুই ওপেনার শুভমন গিল (৮), এবং রোহিত শর্মা (২৮) সাজঘরে ফিরে গেলে, সেই সময়ে দলের হাল ধরেছিলেন কোহলি। সঙ্গে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দুরন্ত লড়াই করেন। তবে কোহলির ৯৮ বলে ৮৪ রানই ভারতের আসল অক্সিজেন হয়। কোহলির ইনিংসের উপর ভর করেই বাকিরা লড়াই চালানোর মনের জোর পান। এবং ভারত ১১ বল বাকি থাকতেই চার উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে।
আরও পড়ুন: ICC ODI টুর্নামেন্টে দু'ডজন হাফসেঞ্চুরি, সচিনকে টপকে ইতিহাস কোহলির, করলেন আরও একটি বিশ্বরেকর্ড
নিজে মাঠে থেকে ভারতকে জেতাতে না পারলেও, ড্রেসিংরুম থেকেই ক্লাইম্যাক্স তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন কোহলি। বিরাটকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল। কোহলি আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলেন, এই ম্যাচ ভারতই জিতবে। তাই যখন রোহিত শর্মা তাঁর চেয়ারে নার্ভাস ভাবে বসেছিলেন, তখন কোহলির কৌতুক ভরা মন্তব্য ভারত অধিনায়ককেও হাসতে বাধ্য করে। আসলে হার্দিক পান্ডিয়া পিটিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু বড় শট খেলতে গিয়েই ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই অবস্থায় বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন রোহিত।
আরও পড়ুন: বল হল ফস্কা গেরো, স্মিথের রানআউট মিস, কুলদীপকে শুনতে হল কোহলি,রোহিতের গালাগাল- ভিডিয়ো
হার্দিক আউট হওয়ার পর, রবীন্দ্র জাদেজা মাঠে নামছিলেন। তখন জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বিসিসিআই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে, জাদেজা সিঁড়ি বেয়ে মাঠে নামার সময়ে রোহিতকে উদ্দেশ্য করে কোহলি বলছেন, ‘মারনে তো ছক্কা হি, জা রাহা হ্যায় ওহ" (ও একটি ছক্কা মারার উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নামছে)।’ কোহলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটি জেতাবে জাদেজা। আর সেই একটি শটই মারতে মাঠে নামছেন তারকা অলরাউন্ডার।
কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী জয়সূচক শটটি ছক্কাই ছিল, কিন্তু সেটি জাদেজার (অপরাজিত ২) পরিবর্তে কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছিল। এবং ভারতের জয়ের পর উন্মাদনায় মেতে ওঠেন কোহলি সহ পুরো ড্রেসিংরুম।
আরও পড়ুন: রোহিত শর্মা কি Champions Trophy-র পরেই অবসর নিচ্ছেন? সোজাসাপ্টা জবাব কোচ গৌতম গম্ভীরের