ভারতকে হারিয়ে এসিসি এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল আফগানিস্তান। বড়দের ক্রিকেটে প্রবলতর প্রতিপক্ষ ভারতকে ২০ রানে হারিয়ে চমক দেখালো আফগানরা। কয়েক মাস আগে আফগানিস্তানের মূল দলের বিরুদ্ধে টি২০তে কোনওমতে হার এড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা, সেটা ছিল হিটম্যানের বুদ্ধিতেই। কিন্তু এবার তেমন কিছু হল না, বরং অধিনায়কের ভুলেই হারতে হল ম্যাচ।
দিনটা ভালো গেল না ভারতের-
শুক্রবার দিনটা ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য খুব একটা ভালো গেল না। সকাল থেকেই পুণে টেস্টে চাপের মধ্যে ছিল ভারত, কার্যত হারের সামনে রয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। আর এবার এমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই হেরে গেল টিম ইন্ডিয়া এ দল। যদি অসাধারণ লড়াই দিলেন নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটার রমনদীপ সিং।
আরও পড়ুন-সুর নরম করতেই ফিরেছেন ইন্ডিয়া 'এ'তে! ইশানের অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে স্নেহের চুম্বন মায়ের…
অভিষেক শর্মার ব্যর্থতা-
২০৭ রান তাঁড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ভারতীয় দলের তিনটি উইকেট পড়ে যায়। জাতীয় দলে খেললেও এখনও যে অভিষেক শর্মার মধ্যে টেম্পারমেন্টের ব্যাপক অভাব রয়েছে তা ধরা পড়ল ইনিংসে। এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয় সিনিয়র দলের হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটাররা এই প্রতিযোগিতায় খেলছিলেন। সেখানে আফগানদের বিরুদ্ধে এত বড় রান তাঁড়া করতে গেলে অভিষেককে ধীরে সুস্থে ইনিংস খেলতে হত, অথচ তিনিই আউট হলেন বাজে ভাবে। শট খেলতে গেলেও নিজের পুরো শক্তি লাগালেন না, দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে তাঁকে আউট করে সাজফরে পাঠাল আবদুল রহমান। জোড়া ওপেনারই আউট হন ঘনজাফরের বোলিংয়ে।
অধিনায়ক তিলক বর্মা আউট হলেন ১৪ বলে ১৬ রান করে, স্ট্রাইক রেট দেখেই বোঝা যাচ্ছিল আফগান বোলাররা ঠিক কতটা চাপে রেখেছিল ভারতীয় ব্যাটারদের। তবে শেষদিকে বুক চিতিয়েই লড়ে গেলেন রমনদীপ সিং। তিনি ছিলেন বলেই খেলা গড়াল অন্তত শেষ পর্যন্ত, নাহলে আগেই খেলা শেষ হয়ে যেতে পারত। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন নাইটদের এই ক্রিকেটার। রসিক সালানের দুরন্ত বোলিংও কাজে লাগল না। আয়ুশ বাদোনি করলেন ২৪ বলে ৩১, নেহাল ওয়াধিরা করলেন ১৪ বলে ২০। নিশান্ত সিন্ধু ভালো খেললেও তিনি রানআউট হলেন ১৩ বলে ২৩ রান করে।
‘বিরাট ওভাবে আউট হবে, ভাবতেই পারিনি’! ৭ উইকেট নেওয়া স্যান্টনার অবাক বিরাটের শটে!
জোড়া আফগান ওপেনারের দুরন্ত ব্যাটিং-
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের জোড়া ওপেনার শুরুটা দুর্দান্ত করেন। ওপেনিং জুটিতে ১৪.১ ওভারে ১৩৭ রান তোলেন জুবেদ আকবারি এবং সেদিকুল্লাহ আতল। জুবেদ করলেন ৪১ বলে ৬৪ রান। সেদিকুল্লাহ করলেন ৫২ বলে ৮৩ রান। করিম জানাত এরপর নেমে ২০ বলে ৪১ রান তুলে ২০০র গণ্ডি পেরিয়ে দেয় আফগানদের স্কোর।
অধিনায়ক তিলক বর্মার বড় ভুল-
অংশুল কাম্বোজকে দিয়ে বোলিং ওপেনির করানোর সিদ্ধান্ত কতটা ভুল ছিল সেটাই প্রমাণ হল ম্যাচ শেষে। ইন ফর্ম বোলার রসিক সালানকে প্রথম দুই ওভারে বোলিং করতে দেওয়া হল না। সেই সুযোগ আফগান ব্যাটাররা ম্যাচে জাঁকিয়ে বসলেন। শেষ পর্যন্ত তিন আফগান ব্যাটারকে আউট করেন সালান। ৪ ওভার হাত দিলেন মাত্র ২৫ রান।