শুভব্রত মুখার্জি:- ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে ইংল্যান্ড দল এগিয়ে গিয়েছে ১-০ ফলে। দুর্দান্ত লড়াই করেও হারতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। তবে এই ম্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারের বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলা হচ্ছে ম্যাচ চলাকালীন নাকি মোমেন্টাম ভাঙা হয়েছে ‘অন্যায্য’ ভাবে! যখন ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দল এগিয়ে ছিল সেই সময়ে নাকি এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যা তাদের বিরুদ্ধে যায়। শুধু তাই নয় সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডকে। এমন বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের সময়ে ঘটেছে ঘটনাটি। যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের দিকে বলে দাবি করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
চতুর্থ দিনের লাঞ্চের সময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ছয় উইকেটে ২৯১ রান। লিড ছিল ১৬৯ রানের। কামিন্দু মেন্ডিস দুরন্ত ব্যাট করছিলেন। তিনি ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। টেস্ট ম্যাচে এটি বাঁহাতি ব্যাটারের তৃতীয় শতরান। দীনেশ চণ্ডীমল নট আউট ছিলেন ৬২ রানে। ২৬ ওভারে তারা জুটিতে তোলেন ১০১ রান। তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড খুব সহজেই লিড নিয়ে নেবে ভেবেছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের দুরন্ত ব্যাট করার ফলে হতাশা বাড়ছিল ইংল্যান্ড বোলারদের। তৃতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা দল এগিয়ে ছিল ৮২ রানে। তাদের স্কোর ছিল ২০৪/৬। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আউট হয়ে যান ৬৫ রান করে। এই সময়েই ম্যাচে বলের পরিবর্তন করা হয়েছিল। যা ম্যাচের মোড় কিছুটা হলেও ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করে শ্রীলঙ্কা শিবির। ম্যাথিউজ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি বলেন, ‘ওই সময়ে বলের পরিবর্তন গোটা ম্যাচের মোমেন্টামটা বদলে দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন… নতুন দায়িত্ব নিয়ে IPL 2025-এ ফিরতে চলেছেন যুবরাজ সিং? যুক্ত হতে পারেন এই দলের সঙ্গে
ঘটনাটি ঘটে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময়ে। তখন ৪১ তম ওভারের খেলা শেষ হয়েছে। অন ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফনি এবং পল রাইফেল ইংল্যান্ডকে বল পরিবর্তনের অনুমতি দেন। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৪৬ রান। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগে স্কাই স্পোর্টসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ বলেন, ‘একটা সময়ে মনে হয়েছিল ইংল্যান্ড বোলারদের পরিকল্পনা কম পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সময়েই বলটা পরিবর্তন করা হয়। অন্যায্য ভাবে বলটা পরিবর্তনে ওঁরা সুবিধা পেয়ে যায়। আমাদেরকে বলা হয় যে তাদের কাছে পুরনো বল নেই ওই বলটাকে বদলানোর জন্য। আর এই ঘটনা গোটা ম্যাচের মোমেন্টামটা ঘুরিয়ে দেয়। আমরা প্রচুর পরিশ্রম করে বলের চকচকে ভাবটা নষ্ট করে দিয়েছিলাম। এরপরে বলটা বদলে দেওয়া হয়। তারপরেই খেলাটা একেবারে ঘুরে যায়। আমার মতে যে দলের সঙ্গেই এটা ঘটুক না কেন এটা ওই দলের ব্যাটারদের জন্য খুব অন্যায্য একটা বিষয় ছিল। আমরা পরিশ্রম করে বলের চকচকে ভাবটা উঠিয়ে ফেলেছিলাম। ৪৮ ওভার খেলা হয়েও গিয়েছিল। আমাদের ব্যাটাররা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক মুডে ব্যাট করছিল। বল পরিবর্তন সবটা বদলে দেয়।’