শুভব্রত মুখার্জি:- কয়েক বছর আগেই অরুণাচল প্রদেশকে ঘিরে চিনা আগ্রাসনের পরপরেই ফাটল ধরেছে দুই দেশের সম্পর্কে। ভারত-চিনের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। যার প্রভাব পড়েছে সমাজের সব ক্ষেত্রেই। ক্রীড়ার জগতও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মাল্টিমিলিয়ন’ প্রোডাক্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএল। আর কয়েকমাস পর থেকেই শুরু হবে আইপিএলের আসর। ইতিমধ্যেই দুবাইয়ের কোকাকোলা এরিনাতে হয়ে গিয়েছে মিনি নিলামের আসর। আর এবার আসন্ন আইপিএলের টাইটেল অর্থাৎ মূল স্পন্সর খোঁজা শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই। যার টেন্ডার ইতিমধ্যেই ছাড়া হয়েছে। আর এই নিলামেই কার্যত চিনা যোগ থাকা কোন কোম্পানিকে একবারে ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।
প্রসঙ্গত গত বছর আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর ছিল টাটা গোষ্ঠী। তাদের ২০২৩ সালের কন্ট্রাক্ট অর্থাৎ চুক্তি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নয়া স্পন্সরকে খুঁজছে ভারতীয় বোর্ড। সম্প্রতি বিসিসিআই এই মূল স্পন্সর পেতে নয়া টেন্ডার প্রকাশ করেছে। যেখানে তারা লিখেছে, কোনও বিডারের সঙ্গে এমন কোনও দেশের সম্পর্ক রাখা যাবে না, ভারতের সঙ্গে যাদের ভালো রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নেই। যদি এমন কোনও বিডার সামনে এগিয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে বিসিসিআইকে ওই কোম্পানিকে নিজেদের শেয়ার হোল্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর পরই বিড নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কোনও ফ্যান্টাসি গেম, ক্রিপ্টোকারেন্সি কিংবা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিরা আসন্ন আইপিএল টুর্নামেন্টে টাইটেল স্পনসরশিপের জন্য বিড করতে পারবে না। প্রসঙ্গত এবার টাইটেল স্পনসরশিপের পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই চুক্তি বৈধ থাকবে।
প্রসঙ্গত ক্রিকবাজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বিসিসিআই আইপিএল টুর্নামেন্টে টাইটেল স্পনসরের জন্য একটি টেন্ডার বের করেছে। যাতে উপরে উল্লেখিত সমস্ত তথ্য রয়েছে। যার থেকে স্পষ্ট যে সকল দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, তাদের এই টেন্ডারে জায়গা হবে না। টাইটেল স্পনসরশিপের বেস প্রাইস প্রতি বছরে ৩৬০ কোটি টাকা। এরপর যে সংস্থা যত দর হাঁকাবে তারাই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করবে। উল্লেখ্য এর আগে চিনের মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো আইপিএল টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর হয়েছিল। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে তৈরি হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। ফলে দুইপক্ষের সম্পর্কে চিড় ধরে। জনরোষ এড়াতে বিসিসিআই ভিভোকে সরানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর এক বছরের জন্য টাটা আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে যুক্ত হয়েছিল।