ইউপিএসসি পরিচালিত এ বছরের নির্ধারিত সিভিল সার্ভিস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা পিছানোর আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে, যাঁরা শেষ বার এই পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের আরও এক বছর সুযোগ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিবেচনা করার আবেদন জানাল আদালত।কোভিড অতিমারীর জেরে ভিনরাজ্যে পৌঁছে পরীক্ষা দেওয়ার সমস্যা নিয়েও এদিন বিশদে আলোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা কোভিডনীতি বহাল থাকায় বহু পরীক্ষার্থীই এ বছর পরীক্ষাদেওয়া নিয়ে সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এ দিন বেঞ্চ জানিয়েছে, যাঁরা শেষ বার এই পরীক্ষায় বসছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও এক বছর সময় দেওয়ার কথা বিবেচনা করুক কেন্দ্রীয় সরকার।বুধবার পরীক্ষা পিছানোর আবেদনের শুনানিতে UPSC জানায়, ৪ অক্টোবরে সিভিল সার্ভিস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা ২০২০ পরিচালনার জন্য ৫০ কোটি টাকার বেশি ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা বিলম্বিত হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হলফনামায দায়ের করে জানায় UPSC।করোনা সংক্রমণের প্রকোপ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ জন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থী পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির আগে এই হলফনামা দেয় UPSC জানায় পরীক্ষা পিছনো সম্ভব নয়। এর আগে UPSC বলেছিল যে পরীক্ষা আরও পিছিয়ে দেওয়া 'অসম্ভব'।হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘কমিশন ৫০.৩৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার মধ্যে প্রায় ১৬.০৯ কোটি টাকার নির্দিষ্ট কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে যাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি সহজ হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ফলে সরকারি কোষাগারের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’ কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বেশ কয়েকটি পরীক্ষা ইতিমধ্যে স্থগিত করা হলেও সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ পূরণের জন্য CSP 2020 জরুরি বলে জানানো হয়েছে।PIL-এর বিরোধিতা করার কারণ জানিয়ে কমিশন বলেছিল ৪ অক্টোবর তারিখটি 'সর্বোচ্চ সীমা' ছিল। আরও দেরি হলে সিভিল সার্ভিস (মেইন) পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচী ব্যাহত হত।সোমবার পর্যন্ত মোট ১০.৫৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন যার মধ্যে ৬.৮৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী (প্রায় ৬৫ শতাংশ) ই-অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন সোমবার পর্যন্ত। পরীক্ষাটি ৭২ টি কেন্দ্রে ২৫৬৯ টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। হলফনামায় বলা হয়েছে যে পরীক্ষার উপাদান, উপস্থিতিপত্র, উপদেষ্টা এবং সুপারভাইজারের তালিকা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে প্রেরণ করা হওয়ায় সমস্ত প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ শেষ হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পাশাপাশি ইউপিএসসি সচিব সকল প্রধান সচিবকে ৩ ও ৪ অক্টোবর পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও ঝামেলা ছাড়াই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরিবহণ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে জ্যামার বসানো হয়েছে।বিচারপতি এ এম খানউয়িলকরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ UPSC-র হলফনামা বিবেচনা করবে এবং পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করবে। কমিশন ইতিমধ্যে Covid-19 প্রোটোকল অনুসরণ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে।