আসছে ইদ উল আজহা। তার আগে, এদিন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তুলে ধরলেন সেদেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আসন্ন ইদ উল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি।
ফরিদা আখতারের সাংবাদিক সম্মেলনের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোরবানিযোগ্য ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মোষ, কোরবানিযোগ্য হিসাবে ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া থাকছে, ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর প্রাপ্যতা থাকছে সেদেশে। বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু থাকায় এ বছর কোরবানি ইদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে। সেখানে সাফ জানানো হয়, কোনও মতেই অবৈধপথে গবাদিপশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক বলছে, চলতি বছরে ২০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে বাংলাদেশে।
( 'যুদ্ধ হলে ইংল্যান্ড চলে যাব’,পাক MP বললেন, ‘মোদী কি আমার কথায় পিছু হঠবেন!' ঝড়ের বেগে ভাইরাল ভিডিয়ো)
শুধু গবাদিপশুর সংখ্যাই নয়, কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্যে নিশ্চিত করা সহ, পশু আনা-নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন,' দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।' এরইসঙ্গে তিনি বলেন,' এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষেরা, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।'