বাংলাদেশের বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশএয়ারলাইন্সের অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ৩০৯২ কোটি টাকার দেনা আছে বাংলাদেশ বেসামরিক কতৃপক্ষ(বেবিচক)-র কাছে। কিন্তু বিমান সংস্থাটি তাদের এই অর্থবর্ষের হিসাবে ৩২৮ কোটি টাকার লাভ দেখিয়েছে। এই হিসাবে রীতিমতো বিস্মিত বাংলাদেশ সরকারের আধিকারিকরা। খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।অন্যদিকে বেবিচক বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাছে তাদের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা পাওনা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিন হাজার ৯২ কোটি টাকা আটকে রেখেছে অভিযুক্ত সংস্থাটি।অভিযুক্ত সংস্থাটি বলছে, দুই বছরে তারা বেবিচকের কোনো ধরনের চার্জ বকেয়া রাখেনি। পরিশোধ করেছে জেট ফুয়েলের (পদ্মা অয়েল) সব খরচ। তবে, এর আগের বকেয়া পরিশোধের পরিকল্পনা নেই তাদের।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্মকর্তা ও এক বিশিষ্ট বিমান বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেবিচকের দেনা বাদ রেখে বিমানের লাভ-ক্ষতি হিসাবের কোনো সুযোগ নেই। একটি এয়ারলাইন্সের খরচের ৫০ ভাগই যায় বেবিচকের চার্জ ও তেলের দামের পেছনে। এই দেনা বাদ দিয়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব করতে গেলে সেটা কিন্তু ন্যায়সঙ্গ হবে না। বুঝতে হবে সংস্থাটি সঠিক হিসাব দিচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশের এয়ারলাইন্সগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা করা হয় না। সেক্ষেত্রে তাদের লাভ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।