মুর্শিদাবাদ ঘিরে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে একাধিক ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে। তৃণমূলের তরফে এই নিয়ে আগেই বিজেপির দিকে তোপ দাগা হয়েছে। সদ্য রাজ্য বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এক পোস্টে থাকা ছবি নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছিল। আর রাজ্যপুলিশের তরফে ওই পোস্ট তুলে ধরে, পোস্টে থাকা টুকরো ছবির আসল ঘটনাস্থল তুলে ধরা হয়। এদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে মুর্শিদাবাদ ঘিরে কোনও অপ্রতীকর পরিস্থিতির খবর আসেনি। এদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বহু মানুষ প্রাণের ভয়ে মুর্শিদাবাদের নানান জায়গা থেকে ভাগীরথী নদী পার করে পৌঁছচ্ছেন মালদায়।
পুলিশ কী জানাল?
সদ্য রাজ্য পুলিশের তরফে এক এক্স পোস্টে রাজ্য বিজেপির তরফে পোস্ট করা ওই টুকরো ছবির কোলাজের পোস্টটি পেশ করে, সেই ছবিগুলোর আসল জায়গা তুলে ধরা হয়। রাজ্য বিজেপির ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময়ের ছবি সেগুলি। তবে রাজ্য পুলিশ তাদের পোস্টে সেই ছবিগুলির আসল ঘটনাস্থল প্রকাশ করে। শুধু ঘটনাস্থলই নয়, পুলিশ জানিয়ে দেয় ঘটনার প্রেক্ষাপটও।

নদী পার করে মালদায় পৌঁছেছেন অনেকে?
এদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই-র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, হিংসায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ থেকে অনেকেই ভাগীরথী নদী পার করে পৌঁছে যাচ্ছেন মালদায়। রিপোর্ট বলছে, সুতি, ধুলিয়ান, সমসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর থেকে অনেকেই মালদায় পৌঁছচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ ঘিরে প্রতিবাদের জেরে মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুর পর থেকেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় প্রশাসন। কোর্টের নির্দেশে পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত। তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ২৩ জন দক্ষ পুলিশ অফিসারকে মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে বিশেষ ডিউটিতে। এদিকে, ক্রমাগত মালদায় নদীপথে মুর্শিদাবাদ থেকে মানুষ আসছেন। দেওনাপুর-শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুলেখা চৌধুরী বলছেন, প্রথমে কিছু মানুষ ভাগীরথী পার করে এসেছিলেন। পরে সেই সংখ্যা বেড়েছে। মালদায় আসা অনেকেই বলছেন, ‘ধুলিয়ানের মন্দিরপাড়া এলাকা থেকে আমরা পালিয়ে এসেছিলাম, কারণ আমাদের বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়েছিল এবং বহিরাগতদের একটি দল এবং কিছু স্থানীয় লোক ..ঘটিয়েছে।’ এদিকে, কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের পল্লারপুর গ্রামে এই চলে আসা মানুষদের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।