আজ, ৫ জানুয়ারি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের একমাত্র বিরোধী মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন। যিনি সমস্ত প্রতিকূলতাকে পার করে রাজনীতির ময়দানে রাফ অ্যান্ড টাফ। একজন সাংসদ থেকে বাংলার ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। হ্যাঁ, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিনে তাই এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। যুযুধান প্রতিপক্ষ হয়েও যিনি সবার আগে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, রবিবার সাতসকালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
আবার আজই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের রিপোর্টেই। কেন্দ্রীয় সরকার যে হাউজহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলার গ্রামীণ পরিবারের চাল, ডাল কেনার বাইরে ভোগব্যয় দেশের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় এই শংসাপত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে সবচেয়ে বড় উপহার বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা দেশে ভোগব্যয় বৃদ্ধির হার যেখানে সাড়ে ৩ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার ৫.৩৯ শতাংশ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, বার্ধক্য ভাতা–সহ নানা সামাজিক প্রকল্পই এই সাফল্য এনে দিয়েছে। যা আজ মুখে হাসি ফোটাল মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: দল–সরকার কোন পথে চলবে? অভিষেক–বক্সিদাকে বৈঠকে ডেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭০তম জন্মদিন। সেটা বাংলার মানুষ থেকে শুরু করে দেশবাসী অনেকেই জানেন। আর এই জন্মদিনে প্রবল প্রতিপক্ষ হয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘তাঁর জন্মদিনে, আমি আমার শুভেচ্ছা বার্তা জানাচ্ছি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে। প্রার্থনা করি তাঁর দীর্ঘ সুস্বাস্থ্য জীবনের।’ বঙ্গ–বিজেপি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা এবং গালিগালাজ করলেও প্রধানমন্ত্রী সেই রাস্তায় হাঁটেননি। বরং সৌজন্য দেখিয়েছেন। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনেও বারবার শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।