এবার খাস কলকাতার রাজপথে বিক্রেতার ছুরির আঘাতে আক্রান্ত হলেন এক ক্রেতা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে ফলের ঝুড়ি নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেটা চরম আকার নেয় যখন বিক্রেতা ছুরি নিয়ে হামলা করে ক্রেতাকে বলে অভিযোগ। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেননি। তবে এই ছুরির হামলার ঘটনায় রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে তালতলা থানা এলাকার মেহেদি বাগানে। বিক্রেতার ছুরির আঘাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি ক্রেতা বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে তালতলা থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এই হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
শনিবার রাতে মেহেদি বাগান এলাকার দুই ব্যবসায়ী মানোয়ার এবং সফি আহমেদ কাজ করছিলেন। মানোয়ার কলা বিক্রেতা। আর সফি আহমেদ তাঁর থেকে রোজ কলা কেনেন। যদিও তিনি নিজেও ব্যবসায়ী। কিন্তু মানোয়ারের ক্রেতা। রোজকার মতোই গতকালও এক ক্রেট কলা মানোয়ারের থেকে কেনেন সফি। তারপর কলাগুলি নিজের জায়গায় নিয়ে ক্রেট ফেরত দেন সফি। আর তখনই দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। বিক্রেতা মানোয়ারের অভিযোগ, ক্রেতা সফিকে তিনি অক্ষত ক্রেট দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রেতা সফি তাঁকে ভাঙা ক্রেট ফেরত দিয়েছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও এটা মিথ্যে বলে দাবি ক্রেতা সফির। এই নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দু’জন তখনই রাগের মাথায় ছুরি দিয়ে মানোয়ার আঘাত করেন সফিকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হয় রাজপথ।
আরও পড়ুন: শীতলকুচি কলেজে তৃণমূল ছাত্রনেতার কাছে পিস্তল, বৈঠকেই বেরিয়ে পড়ল দেশি অস্ত্র!
ফলের ঝুড়ি নিয়ে তর্কাতর্কির সময়ই কলা কাটার ছুরি দিয়ে সফির উপর হামলা চালায় মানোয়ার বলে অভিযোগ। ওই হামলায় সফির পেটের বাঁদিকে বড় ক্ষত হয়ে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফি। তখন তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করার পর এখন আগের থেকে তাঁর অবস্থা ভাল। এই ঘটনার খবর বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে পৌঁছয় তালতলা থানার পুলিশ। আর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। মানোয়ার ছাড়া বাকি ধৃতদের নাম আফ্রিদি এবং সইফ। মানোয়ারই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি পুলিশের। বাকিরা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ। যারা এই কাজে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ।
এই তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার আদালতে তোলা হবে। খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই নিয়ে আজ, রবিবার সকালে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়। যদিও বিক্রেতা মানোয়ারের দাবি, সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। সফিই দায়ী। তাই সোমবার আদালতে পেশ করা হলে তালতলা থানার পুলিশের সামনে সে কথা বলবে বিক্রেতা মানোয়ার। ফলের ঝুড়ি নিয়ে যো রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটতে পারে সেটা কেউ ভাবেননি।