আর বেশি দিন নেই। ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে দিঘা। বলা ভালো, ভোল একেবারে বদলে ফেলছে দিঘা। চারদিকে সাজো সাজো রব। ৩০শে এপ্রিল হবে জগন্নাথধামে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তার আগে জগন্নাথধামে হল কলসযাত্রা।
বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কলসযাত্রার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে আমরা আমাদের মাঝে জগন্নাথদেবকে আবাহন করছি। অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য তিথিতে দিঘাতে ভগবানের স্থান উদ্বোধন করা হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ভক্তরা কলসযাত্রায় অংশ নিলেন। এরপর তিনি সেই কলসযাত্রার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন।
সেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলারা হাতে পবিত্র কলস নিয়ে এগিয়ে চলেছেন জগন্নাথধামের দিকে। খোল করতাল কাসর ঘণ্টা বাজছে। ভক্তরা জড়ো হয়েছে জগন্নাথ ধামে। মঙ্গলশঙ্খ বাজিয়ে কলসযাত্রা হয়েছে।
এখানে দেখুন সেই ভিডিয়ো।
জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের জন্য় দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্য়েই। দিঘা স্টেশনের কাছেই তৈরি হয়েছে এই জগন্নাথ ধাম। এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন পুরীতে এসে হাজির হয়েছেন। পুরীর মন্দিরের মতো অনেকটা দেখতে। সামনে প্রসস্ত জায়গা। এতদিন দিঘা মানেই ছিল সমুদ্র আর ঝাউবন। দিন কয়েকের জন্য সাধারণ মানুষ একটু আমোদ প্রমোদ করতে আসতেন। কিন্তু এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জগন্নাথধাম। আধ্য়াত্মিক ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে উঠছে দিঘা। সেজে উঠছে চারপাশ।
একেবারে মেগা ইভেন্ট। এই কর্মসূচিকে স্মরণীয় করে রাখতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই মন্ত্রীরা দফায় দফায় যাচ্ছেন এলাকায়। মুখ্য়মন্ত্রী নিজেও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন।
প্রসঙ্গত ২৯শে এপ্রিল হবে যজ্ঞ। তার প্রস্তুতি চলছে। এরপরের দিন ৩০শে এপ্রিল হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সেই অনুষ্ঠানের প্রচার চলছে পুরোদমে।
এসবের মধ্য়েই খবর মিলেছে, দিঘা জগন্নাথ ধামের গেট থেকে আচমকাই পড়ে গিয়েছেন এক নির্মাণ কর্মী। তিনি জগন্নাথ ধাম গেটে কাজ করছিলেন। সেই সময় হাত ফস্কে তিনি পড়ে যান বলে খবর। এদিকে তিনি পড়ে গিয়েছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
প্রথমে তাঁকে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তাঁর অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ার জেরে তমলুক জেলা হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। একেবারে গ্রিন করিডর করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় তমলুকে। তাঁর সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।