শিয়ালদা ডিভিশনে লোকালে মহিলা কামরা বাড়ানোর পরেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে যাত্রীদের একাংশের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরেই এর প্রতিবাদে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ, রেল অবরোধ করেছেন যাত্রীরা। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। সেই ঘটনায় রেলের তরফে আগেই জানানো হয়েছে মহিলা কামরা কমানো যাবে না। আর এবার অবরোধ নিয়ে কড়া বার্তা দিল পূর্ব রেল। ট্রেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে কী শাস্তি হতে পারে তা নিয়ে ৩৬ বছরের পুরনো আইনের কথা মনে করিয়ে বিবৃতি জারি করল রেল।
আরও পড়ুন: ট্রেনের কামরা বাড়াতে হবে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় অব্যাহত রইল রেল অবরোধ
শুক্রবার বিবৃতি জারি করে অবরোধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পূর্ব রেল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু যাত্রী বিক্ষোভের নামে ট্রেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন। রেল কোনওভাবেই অবরোধ বরদাস্ত করবে না। রেলের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ বেআইনি। প্রসঙ্গত, শিয়ালদা ডিভিশনে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। তবে রেল অবরোধের ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের, পাশাপাশি তাঁদের অনেক ক্ষতিও হচ্ছে। পূর্ব রেল এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রেলের দাবি, কিছু লোক আন্দোলন ও বিক্ষোভের নামে রেল স্টেশনে বসে বা পিকেটিং করে রেল চলাচল ব্যাহত করছে। এই অবস্থায় এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য শাস্তি হিসেবে কী বিধান রয়েছে সেপ্রসঙ্গে ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রেল।
কী বলা রয়েছে আইনে?
বিবৃতি অনুযায়ী, এই আইনের ১৭৪ ধরার অধীনে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, রেল অবরোধের কার্যকলাপে যুক্ত থাকলে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয়ত ১৫৪ ধারা অনুযায়ীও ব্যবস্থা নেওয়া পারে রেল। সেক্ষেত্রেও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত কাজের মাধ্যমে রেলপথে ভ্রমণকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা বিপন্ন করলে ১৫৩ ধারার অধীনেও মামলা করতে পারে রেল। এই ধারা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এই অবস্থায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে এমন ধরনের কার্যকলাপ থেকে মানুষকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে রেল। একইসঙ্গে রেল হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, এই ধরনের ‘অর্থহীন’ রেল অবরোধ আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঘটলে কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।