মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। বিষয়টি অত্যন্ত সিরিয়াস। সেখানে উত্তর লিখতে কৃত্রিম মেধার অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা সেই চুরি শেষমেশ ধরেই ফেললেন পরীক্ষকরা। দক্ষিণ কলকাতার বদরতলার পরীক্ষার্থীকে এভাবেই ধরা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী মোবাইল–সহ ধরা পড়েছে। আবার কয়েকজন পরীক্ষার্থী সরাসরি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে প্রাইভেট টিউটরকে পাঠিয়ে দেয় বলেও জানা যাচ্ছে। এআই অ্যাপের ব্যবহার করে অঙ্কে ছাঁকা নম্বর তুলতে চেয়েছিল ওই পরীক্ষার্থী বলে অভিযোগ। ওই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। এমনকী মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে আরও পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে এআই আগামী দিনের চলার পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দুনিয়াই এখন তা নিয়ে চর্চা করছে। এআই মানুষের কাজ আরও সহজ করে দেবে বলে চর্চা হচ্ছে। এবার সেটাই প্রয়োগ করা হল পরীক্ষাতে। এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে এআই অ্যাপে তার অঙ্কের প্রশ্ন দিয়ে উত্তর লিখে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। কিন্তু ধরা পড়েই গেল। তার জেরে পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ১৯ জন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ধরা পড়েছে। একজন আবার ধরা পড়েছে স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল বা কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ব্যবহার করা হলে পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল হবে।
আরও পড়ুন: দেউচা জলাধারে মহিলার বস্তাবন্দি দেহ, খুন করে কি ফেলা হয়েছে? তদন্তে নামল পুলিশ