তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী। মা–মাটি–মানুষের সরকারকে তুলোধনা করতে কসুর করেন না তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কাজের বিরোধিতা করে থাকেন তিনি। সেখানে এবার সেই কট্টরপন্থী বিরোধী নেতাই প্রশংসা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের। তিনি সিপিএম নেতা। বিশিষ্ট আইনজীবী। রাজ্যসভার সাংসদও। হ্যাঁ, তিনি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর তাঁর এই প্রশংসাসূচক মন্তব্যের পরই তোপ দেগেছে বিজেপি। সুতরাং তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
এদিকে পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা যে হামলা করেছিল তা জবাব দেয় ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান করে। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস–সহ দেশের তামাম বিরোধী দল। এখন বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল নানা দেশে ঘুরছেন এবং পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন। এই আবহে আবার কাশ্মীরের মানুষজন কেমন আছেন তার জানতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল গিয়েছে। ভূস্বর্গে এই প্রতিনিধিদল পাঠানোয় এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংশা করলেন সিপিএম নেতা তথা সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রবল বিরোধী বিকাশবাবুর এই প্রশংসায় তোপ দেগেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়বে শীঘ্রই, পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন মমতাই
অন্যদিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বরাবরই নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করে থাকেন। সেই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ঘাসফুল শিবিরের প্রশংসা করেছেন। এমনকী নিজের দলের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেছেন এই সিপিএম নেতা। কাশ্মীরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কাশ্মীরে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে ঠিক কাজই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাশ্মীরে দলের প্রতিনিধি দল না পাঠিয়ে বিদেশে প্রতিনিধিদল কেন?’ এক্ষেত্রে সিপিএম পলিটব্যুরো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের স্বার্থে তাঁদের প্রতিনিধিদলও বিদেশে যাবে। সেটাকেই খোঁচা দিলেন বিকাশরঞ্জন বলে মনে করা হচ্ছে।