জেনারেল মেডিসিনে এমডি ছাড়া আর কোনও ডিগ্রি নেই, অথচ চিকিৎসক নিজেকে ডায়াবেটোলজিস্ট রিউম্যাটোলজিস্ট এবং নিউরোলজিস্ট বলে দাবি করতেন। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি খতিয়ে অবশেষে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। ৬ মাসের জন্য ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল মেডিক্যাল কাউন্সিল। একইসঙ্গে আগামী ৬ মাস পর্যন্ত ওই চিকিৎসক কোনও রোগী দেখতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কাউন্সিল। ওই চিকিৎসকের নাম সমর বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। তিনি জেনারেল মেডিসিন ছাড়াও, ওই তিনটি বিভাগের চিকিৎসক বলে তাঁর প্রেসক্রিপশন, ভিজিটিং কার্ড এমনকী সাইনবোর্ডে দাবি করতেন। এমনকী তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করতেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা করিয়েছিলেন হুগলির বাসিন্দা স্বপ্না দাস। কিন্তু, সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ওই চিকিৎসকের অন্য কোনও ডিগ্রী নেই। তিনি শুধুমাত্র জেনারেল মেডিসিনে এমডি পাশ করেছেন। এরপরে তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তদন্তে নামে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তদন্তে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানতে পারে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তা সবই ঠিক।মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সমর বন্দ্যোপাধ্যায় জেনারেল মেডিসিনে এমডি পাশ করেছিলেন ১৯৮১ সালে। অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তবে ২০০৬ সালের পর থেকে তিনি আর অ্যাপোলো হাসপাতালে সঙ্গে যুক্ত নন। এমনকী হাসপাতালে তরফেও ওই চিকিৎসককে তাদের নাম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল।চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গত ৬ জুন এক্সট্রা অর্ডিনারি বৈঠক করে মেডিক্যাল কাউন্সিলের পেনাল অ্যান্ড এথিক্যাল কমিটি। তাতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৬ মাস রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কাউন্সিলরের তরফে জানানো হয়েছে, এগুলি একেবারে ঠিক নয়। এসব একেবারে মেনে নেওয়া হবে না। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছ থেক এই ধরনের কোনও নির্দেশ এখনও তিনি পাননি। নির্দেশ পেলে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।