নির্ধারিত সময়ের আট দিন আগে কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। বাংলাতেও আর কয়েক দিনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করবে। আর বর্ষা এলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে নদীগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এরফলে নদী ভাঙনের সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই অবস্থায় নদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই নদী বাঁধের উপর নজরদারি চালাতে বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্যের সেচ দফতর।
আরও পড়ুন: মৌসুনি দ্বীপের বেহাল অবস্থা, মাটির বাঁধে বিরাট ভাঙন, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের
উত্তরবঙ্গের নদী বাঁধগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? বা কোথাও ভাঙন দেখা দিয়েছে কিনা তার ওপর নিয়মিত নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করল সেচ দফতর। এর জন্য তৈরি করা হল ১২টি কুইক রেসপন্স টিম। কোথাও নদী বাঁধ ভাঙনের খবর পেলে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবেন এই টিমের সদস্যরা। গত বুধবার উত্তরবঙ্গে মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বর্ষার জন্য আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। অতিবৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, নদী ভাঙন, ধস সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার প্রশাসনকে তিনি সতর্ক থাকতে বলেছেন। এছাড়াও, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার সহ গোটা রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তারপরেই সেচ দফতরের তরফে এমন পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে অসংখ্য নদী রয়েছে। কোচবিহার থেকে মালদা পর্যন্ত গঙ্গা, ফুলহার, কশী, আত্রেয়ী, তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, জলঢাকা, রায়ডাক প্রভৃতি ছোটবড় নদী রয়েছে। এই নদীগুলির মধ্যে বেশ কিছুর উৎপত্তিস্থল ভুটানে। তবে বৃষ্টির ফলে ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলি ঠিক কত পরিমাণ জল নিয়ে বয়ে আসছে তা জানার ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে ভুটান থেকে নেমে আসা শুধু তিনটি নদীর জলের পরিমাণ জানতে পারে সেচ দফতর। এনিয়ে ভুটানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কয়েকদিন আগে। তাতে ভুটানকে বৃষ্টির পরিমাণ জানাতে আরও বেশি যন্ত্র বসানোর জন্য অনুরোধ করেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি উত্তরকন্যা থেকে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত-ভুটান নদী কমিশনে বাংলার প্রতিনিধি রাখারও দাবি তোলেন। এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলেন।