মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা (দুলাল) সরকার খুনের পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বাবলা সরকার খুনের পর থেকে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কয়েকজন যুবককে আর দেখা যাচ্ছে না। অনুমান, ওই বাড়িতে বসেই বাবলা সরকারের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল তারা। খবর পেয়ে তালা ভেঙে বাড়িটি তল্লাশি করেছে পুলিশ। ওদিকে সোমবার বাবলা সরকারের পারলৌকিক কাজে যোগদান করতে তাঁর বাড়িতে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবলা সরকারের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর সুবিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ২০২১ সালে করোনাকালে বর্তমান বাসস্থানে থাকা শুরু করেন বাবলা সরকার। তার আগে কাছেই একটি বাড়ি ছিল তাঁর। পরে সেই বাড়ি বিক্রি করে দেন তিনি। পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে তৈরি হয়েছে বহুতল আবাসন। সেই আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, বাবলা সরকারের পুরনো বাড়ির পাশেই রয়েছে একটি টিনের চালার পরিত্যক্ত ঘর। বাবলা সরকার খুন হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে সেখানে থাকতে শুরু করেন কয়েকজন যুবক। কিন্তু সেখানে ক্রমশ বাড়তে থাকে অচেনা মানুষদের আনাগোনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় রোজ রাতে সেখানে মদ - মাংস সহযোগে চলত পার্টি। পার্টির আওয়াজে পাশের আবাসনে টেকা দায় হয়ে উঠেছিল।
স্থানীয়দের দাবি, গত ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুন হওয়ার পর থেকে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফের তালা পড়েছে। বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। স্থানীয়দের অনুমান, বাবলা সরকারকে খুন করতে তাঁর পুরনো প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত ঘরেই ঘাঁটি গেড়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেখানে থেকেই বাবলা সরকারের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল তারা। স্থানীয়দের কাছে এই খবর পেয়ে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে পুলিশ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বাড়িটি সিল করে দিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বাবলা সরকার খুনে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু জনরোষের ভয়ে পুলিশ ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যেতে পারছে না। সোমবার বাবলা সরকারের পারলৌকিক ক্রিয়া করেন তাঁর পুত্র। এদিন নিহত তৃণমূল নেতার বাড়ি যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কাছে স্বামীর মৃত্যুর সুবিচার দাবি করেন বাবলা সরকারের স্ত্রী।