সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রবীর কুমার ঘোষ। এবার সেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ধরনায় বসলেন পড়ুয়াদের একাংশ। পূর্বপল্লী সিনিয়র বয়েজ হস্টেলের আবাসিকরা শুক্রবার গভীর রাতে উপাচার্যের বসভবন পূর্বিতার সামনে ধরনায় বসেন। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবস্থান তুলে নেন পড়ুয়ারা। (আরও পড়ুন: ভারতীয় করদাতাদের টাকায় সুবিধালাভ অবৈধবাসী বাংলাদেশিদের, দিব্যি পাচ্ছে ভর্তুকি)
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস, ৬ বছর পরে মুক্ত হাওয়া
পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলের পানীয় জলের ফিল্টার দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি। তারওপর গরমে হস্টেলে পানীয় জলের সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। এর আগে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে গত ১৫ মার্চ এই দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখেছিলেন পড়ুয়ারা। তখন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও কোনও সমাধান হয়নি বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। সেই কারণে পানীয় জলের দাবিতে এদিন গভীর রাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। হস্টেলের আবাসিকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের দাবি পূরণ করা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করা হবে। (আরও পড়ুন: 'এই দেখ আমিও পারি', ঠিক যেন ক্লাস ২-এর শিশুর মতো হাস্যকর আচরণ পাকিস্তানের)
আরও পড়ুন: 'যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখিয়ে...', মানবিক করিডোরের নামে ইউনুসের ছক 'ফাঁস'
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বড় হোস্টেল হল পূর্বপল্লী সিনিয়র বয়েজ হস্টেল। এই হস্টেলে এ থেকে এইচ পর্যন্ত ব্লক রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি ঘর রয়েছে এই হস্টেলে। সেখানে প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া থাকেন। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাভবন এবং বিদ্যাভবনের পড়ুয়ারা এই হস্টেলে থাকেন। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য হস্টেলে একটি কুলার ফিল্টার বসানো হয়েছিল। কিন্তু, সেটা বিকল হয়ে গিয়েছে। তারপরে সারানোর পদক্ষেপ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ইসলামের নামে নর্থইস্ট দখলের 'শখ' প্রাক্তন বাংলাদেশি সেনাকর্তার, পেলেন যোগ্য জবাব
পড়ুয়াদের অভিযোগ, বারবার কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জানিয়েছেন। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। জানা যায়, শুক্রবার রাতে জলের বোতল হাতে নিয়ে হস্টেলের আবাসিক ছাত্ররা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। কর্তৃপক্ষের তরফে পুনরায় আশ্বাস দেওয়ায় তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। যদিও পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।