পহেলগাঁও হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে ক্রমাগত উস্কানিমূলক মন্তব্য পাকিস্তানের প্রান্ত থেকে উঠে আসছে। এবার খবরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির সদ্য হুঁশিয়ারির সুর চড়া করে জানিয়েছেন, সেদেশের সার্বভৌমত্বে বা সীমানার মধ্যে থাকা অখণ্ডতায় যদি হুমকি আসে, তাহলে পূর্ণ সেনাশক্তি নিয়ে জবাব দেবে।
সদ্য এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছে ৪ দিন যুদ্ধ করার মতো অস্ত্রের রসদ রয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনার বেশ ভালো রকমের কমতি রয়েছে অস্ত্রে। এদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝে, পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির বলেছেন,'পাকিস্তান এই অঞ্চলে এবং তার বাইরেও শান্তি চায়, তবে, যদি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হয়, তাহলে পাকিস্তান তার জাতীয় মর্যাদা এবং জনগণের মঙ্গল রক্ষার জন্য পূর্ণ শক্তির সাথে জবাব দেবে।' সদ্য পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে '১৫ তম জাতীয় ওয়ার্কশপ বালুচিস্তান'-এ অংশগ্রহণকারীদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসিম মুনির ওই কথা বলেন। পাকিস্তানের জিও টিভির খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সেনার কর্তা আসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায় এলাকায়, তবে নিজের প্রতিরক্ষা করতে দ্বিধা বোধ করে না। আসিম বলেন,' যেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ক্ষুদ্র কুটিল এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বালুচ পরিচয়ের নামে সন্ত্রাস চালায়, তারা বালুচদের সম্মান এবং দেশপ্রেমের উপর কলঙ্ক।'

(উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে)
( পাকিস্তানকে ভাতে মারার প্রস্তুতি শুরু! আর্থিক স্ট্রাইকের লক্ষ্যে বড় আর্জি ADBকে, দাবি Reportর)
( জলের নিচে হদিশ পায় শত্রুর ভেসেলের! MIGMর সফল পরীক্ষা নৌসেনার, পাকের 'ফতেহ' টেস্টকে জবাব?)
প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা এসেছে গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ সালে। সেদিনের অভিশপ্ত দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নিরীহ ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন স্থানীয় কাশ্মীরিও। এরপরই কূটনৈতিক পদক্ষেপে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করে দেয় ভারত। সদ্য বাগলিহার বাঁধের গেট বন্ধ করে চেনাবের জলস্তর পাকিস্তানে নামিয়ে দিয়েছে ভারত। যার ফলে পাকিস্তানে চেনাবের জল প্রবাহ কার্যত নব্বই শতাংশ কমে গিয়েছে। এরই সঙ্গে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ককে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অনুরোধ করেন যাতে ওই ব্যাঙ্ক পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা না দেয়। কার্যত পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তানকে নানান দিক থেতে সাঁড়াশি আক্রমণের চাপে রাখতে শুরু করে দিয়েছে দিল্লি।