আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সুতরাং বাংলার সরকার বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কৃতিত্ব বলতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করার ঘটনা। এই আবহের মধ্যে মদন মিত্রের কথায় অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের বলে মনে করা হচ্ছে। কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, উত্তর কলকাতার সাংসদ হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল আরও বেশি সক্রিয় হওয়া। বয়স বেড়েছে বলেই কি সক্রিয় নন? এই প্রশ্ন তুলেছেন মদন মিত্র।
আরজি কর হাসপাতাল উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে অবস্থিত। কিন্তু এই চরম নারকীয় ঘটনার পর সেই কেন্দ্রের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবারও আরজি কর হাসপাতালে যেতে দেখা যায়নি। এমনকী এই নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেননি উত্তর কলকাতার সাংসদ। এবার সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘সুদীপদার কেন্দ্রে এত বড় ঘটনা ঘটল। একটু অ্যাকটিভ হলে ভাল হতো। সাংসদ নিজে গিয়ে কথা বললে ডাক্তাররা খুশি হতেন। তবে মিছিলে দেখেছি সুদীপদাকে। বয়স হয়েছে। এটার থেকে বেশি আর কী বা করবেন।’
আরও পড়ুন: চুরি করতে বিমানে করে এল দুই চোর, হোটেলে থেকে কাজ সেরেও শিলিগুড়িতে গ্রেফতার
তবে এখানেই থেমে থাকেননি দলের কালারফুল নেতা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ সৌগত রায়কে একসঙ্গে নিশানা করেছেন মদন। এই দুই বর্ষীয়ান নেতাকে ধৃতরাষ্ট্র, ভীষ্ম এবং দ্রোণাচার্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, ‘সুদীপ দা, সৌগত দা আমাদের দ্রোণাচার্য, ভীষ্ম। এরা আর অস্ত্র ধরবেন না। জ্ঞান দেবেন। আমি সাংসদ হলে সামনে দাঁড়িয়ে মার খেতাম। আমি বলতাম, যার যত রাগ আছে, সব আমার ওপরে প্রকাশ করো।’ তাহলে কি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে মার খাওয়া উচিত ছিল? উঠছে প্রশ্ন।