গত ১৭ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের রেয়াপাড়ায় ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। দুষ্কৃতীদের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গাড়ির চালক সহদেব প্রধানের। এছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছিলেন রেয়াপাড়া ফাঁড়ির এএসআই সুশান্ত মিত্র। সেই ঘটনার পর এবার ষাঁড় চুরি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল পুলিশ। সব থানাকে নাকা চেকিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হল। (আরও )
আরও পড়ুন: মন্দিরের সামনে থেকে ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে 'খুন' পুলিশের চালক, জখম ২ পুলিশকর্মী
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জেলার সব থানাকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাকা চেকিং চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকা চেকিং শুরু করে দিয়েছে থানাগুলি। জেলার প্রত্যেক থানার আইসি এবং ওসিদের নাকা চেকিং করার নির্দেশ দিয়েছেন এসপি। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম, এগরা, তমলুক, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, ভগবানপুর, ভূপতিনগর সহ অন্যান্য এলাকাগুলিতে জোর কদমে চলছে নাকা চেকিং।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে রাতের অন্ধকারে ষাঁড় চুরির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে ১৭ এপ্রিলের ঘটনার পর অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ। বিশেষ করে আগামী ৩০ এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এমন ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পুলিশকে। এনিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত হলেই মূলত
ভগবানপুর, চণ্ডীপুর, ভূপতিনগর, খেজুরি, নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় ষাঁড় চুরি হচ্ছে। এরজন্য ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ব্যবহার করছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী গোয়াল ঘর থেকেও গরুও চুরি করছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কাজে স্থানীয় কিছু মানুষের মদত রয়েছে। প্রথমে তাঁরা ষাঁড়ের ছবি তুলে দুষ্কৃতীদের পাঠাচ্ছে। এরপর ষাঁড়টি কোন জায়গায় থাকছে সেটি জানিয়ে দিচ্ছে। তার বিনিময়ে কমিশন পাচ্ছেন তাঁরা। আর তারপরেই অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওড়িশা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর ষাঁড় আসে। তাছাড়া, এই জেলায় অনেক শিবমন্দির থাকায় ভক্তরা সেখানে ষাঁড় ছেড়ে দিয়ে চলে যান। ফলে ষাঁড় বেশি থাকায় এই জেলায় হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি।