যে দু’জন শার্প শুটার রাজু ঝাকে খুন করেছিল তাদের স্কেচ আঁকতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ। কিন্তু গাড়ির চালকের স্কেচ আঁকা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই গাড়ি চালক সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাননি তদন্তকারীরা। তবে পুলিশ মনে করছে, এই দু’জনের নাগাল পেলেই বাকি সবটা সামনে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তাই এই দু’জন শার্প শুটারের স্কেচ সংক্রান্ত কাগজই এখন শেষ ভরসা পুলিশের কাছে। কারণ এই স্কেচ করা কাগজ গোটা রহস্যের উন্মোচন করতে পারে।
ঠিক কী ধরা পড়েছে স্কেচে? পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জন শার্প শুটারেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। একজনের গালে হালকা দাড়ি আছে। উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। ছিপছিপে শরীর। অন্যজন জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে আসছিল। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। গলায় গেরুয়া রঙের কাপড় জড়ানো। তার শরীরের গড়নও পাতলা। রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে দুই শার্প শ্যুটারের সম্পর্কে এই তথ্য মিলেছে। তবে গাড়ির চালকের ছবি স্কেচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়নি। তাই আপাতত দুই খুনির স্কেচই এখন জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে অন্যতম ভরসা। কুখ্যাত কয়লা মাফিয়াকে খুনের ‘সুপারি’ অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল। শার্প শ্যুটারদের দু’টি গ্যাং দুর্গাপুরে থেকে রেইকি করেছে। রাজুর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কাউকে শ্যুটাররা ‘সোর্স’ বানিয়েছিল।
আর কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে আবদুল লতিফের সঙ্গে রওনা দিয়েছিলেন রাজু। রাজুর কাছে থাকা দুটি ব্যাগের মধ্যে একটিতে ছিল টাকা। আর একটিতে ছিল ৪–৫টি আইফোন। কয়লা পাচার সংক্রান্ত দু’টি নথিও ছিল। শ্যুটআউটের পর আবদুল লতিফই ব্যাগ দু’টি নিয়ে চম্পট দেয়। আর শার্প শ্যুটাররা যখন গুলি চালাচ্ছিল, তখন নীল রঙের বালেনো গাড়িটির স্টার্ট বন্ধ করেনি চালক। এখান থেকেই পরিষ্কার হওয়া যায় যে, খুনটি পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল। আর রাজুর পরিচিতদের দাবি, বাম আমলের শেষে লতিফের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত চার বছর ধরে দু’জনে হরিহর আত্মা হয়ে ওঠেন।