গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, খুন করার পর দেহ লুকিয়ে রাখা হল গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কে। এমন অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে তাকেও আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মৃতের নাম মোনালিসা ঘটক।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, অভিযুক্ত স্বামী–সহ গ্রেফতার তিন
পুলিশ জানতে পেরেছে, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মোনালিসা। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মোনালিসার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় খোঁজে ডাইরি করেন তাঁর স্বামী কাজু ঘটক। কাকতালীয়ভাবে মোনালিসার শ্বশুর সুজিত ঘটক এবং শাশুড়ি ইতু ঘটকও বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। সেই বিষয়টিও থানায় জানান কাজু ঘটক। সেই সময় মোনালিসার বাবা মা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে পণের দাবিতে তাদের মেয়ের উপর অত্যাচার করা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে তাদের মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত থাকতে পারে। এই ঘটনার পরে তদন্ত নামে পুলিশ। এরপর দফায় দফায় কাজু ঘটককে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পারে তার বাবা ও মা বিষ্ণুপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেই খবর পেয়েই পুলিশ বিষ্ণুপুরে হানা দেয় এবং তাদের আটক করে। এরপর পুলিশ দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অবশেষে তারা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। মোনালিসার শশুর শাশুড়িকে এরপর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে প্রমাণ লোপাটের জন্য গৃহবধূর দেহ গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে। আজ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে।