নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় চক্রান্ত করার মমতার অভিযোগ একযোগে খারিজ করে দিল বিজেপি ও কংগ্রেস। এদিন পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুয়ো ভোটার তৈরির অভিযোগে বিদ্ধ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তাঁরা।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘হরিয়ানা - রাজস্থানের লোক কি বাংলায় থাকে না? এই যে সাড়ে ১০ কোটি লোক বাংলায় রয়েছে এরা কি সবাই মুখার্জি, ব্যানার্জি, চ্যাটার্জি? এসপি - ডিএমদের দেখুন। সিং, মিশ্র, পান্ডে, রাও এরা কারা? তারা এখানে ভোটার হবে না? আপনি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ৬২ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়েছিলেন। তেমনি ৪০ - ৫০ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে এখানে। তাদেরকেও ক্যান্সেল করতে হবে। সেটা আমরা করব।’
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বুথে বুথে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আধিকারিকরাই নিয়োগ হয়ে আছেন। সেখানে কারচুপি কী করে হয়? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল পার্টির হাতে ৩৫ - ৪০ লক্ষ ভুয়ো ভোটার মজুত রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইলেকশনে যাওয়ার আগে যুদ্ধকালীন ভাবে যে কাজটা করতে হবে সেটা হল ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। যেখানে যেখানে অনলাইনে এসব করেছে, একটা এজেন্সিকে দিয়ে করানো হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস নামে একটা কোম্পানি রয়েছে। তার অধীনে ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে একটা সংস্থা এখানে ওদের অনেক লোক পাঠিয়েছে। তারা ডেটা অপারেটরদের কাছে গিয়ে ফিল্ড সার্ভে করেনি, বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোকটা যখন ভোট দিতে যাবে তখন বাইরের লোক ভোটটা দিয়ে দেবে। বাংলার ভোটারদের একই এপিক নম্বরে হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, বিহারের লোকেদের নাম তুলেছে। ভোটের আগে তাদের রেলে করে নিয়ে আসবে। আবার মুর্শিদাবাদের ভোটারদের নাম তুলেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। কারণ মুর্শিদাবাদের ভোট আগে হয়ে যাবে। তাদের নিয়ে আসবে উত্তর ২৪ পরগনায়।’