ক্যানিং থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সিকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন বাড়ির মালিক। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ঠিক উলটো দিকে ওই দোতলা বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, ধৃত জঙ্গির শ্যালক এলাকায় পরিচিত শাল বিক্রেতা। তাঁর কাছ থেকে শাল কিনতেন পুলিশ কর্মীরাও।
গত ২০ ডিসেম্বর ক্যানিং বাজার থেকে গ্রেফতার হয় কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন তেহেরিক ই মুজাহিদিনের অন্যতম পাণ্ডা জাভেদ আহমেদ মুন্সি। বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের STFএর যৌথ বাহিনী। তার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষতা নিয়ে। এরই মধ্যে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন যে বাড়িতে জাভেদ এসেছিল তার মালিক।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উলটো দিকে ওই বাড়ির মালিক বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসা করে। বেশিরভাগ মানুষ চেনে। সেই সূত্রে দিয়েছি ভাড়া। আমাদের এখানে ওনার কাছ থেকে সাংবাদিক থেকে পুলিশ সবাই শাল কেনে। আমার কাছে ভাড়ার চুক্তিও রয়েছে। আমি জাভেদকে চোখেও দেখিনি। এটা ওনার শ্বশুরবাড়ি নয়। কোনও আত্মীয়র বাড়িও নয়। ওনারা এক মাসের জন্য এখানে ভাড়া এসেছেন।
ওদিকে ধৃত জঙ্গির শ্যালক গোলাম মহম্মদ জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে তাঁর বোনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জাভেদের। তিনি নিজে শালের কারবার করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় শীতকালে কাশ্মীরি শাল বিক্রি করেন তিনি। এর আগে অন্য জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। এবছর শীতে ক্যানিংয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। ১৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছয় জাভেদ। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ক্যানিং বাজারে ওষুধ কিনতে যায় সে। তখনই তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর দাবি, ভগ্নিপতি যে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
ওদিকে গোয়েন্দাদের দাবি, লস্কর ই তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জাভেদ টাইম বোমা বানাতে ওস্তাদ। শ্রীনগরের বাসিন্দা সে। দিল্লি হয়ে বিমানে কলকাতা থেকে ক্যানিংয়ে পৌঁছেছিল সে। সেখান থেকে বাংলাদেশ - নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।