শুক্রবার জোড়া বৈঠক ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের। তবে এ দিনের বৈঠকের পরেও ইস্টবেঙ্গল শিবির থেকে কোনও উত্তর পাওয়া গেলনা। লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে কী হতে চলেছে তার জবাব পাওয়া গেলনা এ দিনও। উল্টে মধ্যস্থতাকারীদের কোর্টে বল পাঠালেন লাল হলুদ কর্তারা। তবে এ দিন তারা জানিয়ে রাখলেন সমস্যা মেটার পথে। শুক্রবার দুপুরে প্রথমে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ক্লাবের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। এরপর সন্ধ্যায় কার্যকরী কমিটির বৈঠক ছিল। কিন্তু প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দ্বিতীয় বৈঠকের আজ আর প্রয়োজন নেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার দুপুরে বৈঠকে বসেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা বৈঠক শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলা। বৈঠকে নিজেদের দাবিগুলোই আর একবার তুলে ধরেছিল লাল-হলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের চুক্তি জট যেখানে ছিল,ঠিক সেখানেই আটকে থাকল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মধ্যস্থতাকারীদের নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে। এবার তাদের উত্তরের অপেক্ষায় লাল-হলুদ।
মিডলটন স্ট্রিটে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ইনভেস্টরের দেওয়া পরিমার্জিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের কোন বিষয়গুলো ক্লাবের কাছে গ্রহণযোগ্য, কোনটা বাতিল করছেন তাঁরা, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন কর্তারা। বৈঠক চলাকালীনই বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু পরিমার্জিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের প্রতিটি বিষয় নিয়েই অনড় থেকে গিয়েছে ইনভেস্টর। ক্লাবও নিজেদের অবস্থান থেকে একচুল সরতে নারাজ।
যদিও চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীদের যা যা জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, তা ইনভেস্টরের কাছে পেশ করা হবে। সেই মতো আলোচনা চালাবে। তারপর ক্লাবকে ইনভেস্টরের উত্তর জানিয়ে দেবে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরা। কলকাতা লিগে অন্যান্য ক্লাবরা খেলা শুরু করেদিয়েছে। এ দিকে ক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট খুলল না, আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ এখনও অন্ধকারে রয়েছে। তবে দুশ্চিন্তার মেঘ কেটে যাওয়ার আশায় রয়েছে লাল হলুদ সমর্থকেরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।