অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই আবহে সম্প্রতি দু'টি বিমানে করে আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ কলম্বিয়ান নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে সেই বিমানে থাকা নাগরিকদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল কলম্বিয়ার সরকার। আর এরপরই কলম্বিয়ার ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, কলম্বিয়া যদি তাদের নাগরিকদের গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী সপ্তাহে তাদের ওপর ধার্য শুল্কের হার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেবে আমেরিকা। এই আবহে অবশেষে আমেরিকার কাছে মাথা নত করে কলম্বিয়া। কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো জানিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছে তাঁর দেশ। (আরও পড়ুন: 'বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ'! পার্টনারের ২ সন্তানকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিলেন বৃদ্ধ)
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধে উদ্বেগ, চিনে গিয়ে বাংলাদেশি উপদেষ্টা বলেন…
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, 'কলম্বিয়া সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্তে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত যাওয়া সব অবৈধ বহিরাগতকে অবাধে গ্রহণ করবে তারা। এমনকী মার্কিন সামরিক বিমানে করে যাদের পাঠানো হবে, তাদেরও গ্রহণ করবে কলম্বিয়া। এই আবহে আপাতত শুল্ক আদেশগুলি রাখা থাকবে। তাতে সই করা হবে না। তবে কলম্বিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ বহাল রাখবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া নির্বাসিতদের প্রথম বিমানটি সফলভাবে ফেরত না আসা পর্যন্ত কলম্বিয়ার পণ্যের শুল্ক পরিদর্শনে কড়াকড়ি জারি থাকবে। (আরও পড়ুন: সামরিক কর্তাদের সফরের পর এবার পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশি নৌবাহিনীর জাহাজ)
আরও পড়ুন: ভারতে এই প্রথম কোনও রাজ্যে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, বদলাবে কোন সব নিয়ম?
এই নিয়ে লেভিট বলেন, 'আজকের ঘটনা বিশ্বকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আমেরিকা আবারও সম্মান করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্যে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবেন। তিনি আশা করেন বিশ্বের অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।' (আরও পড়ুন: বন্ধ নিজেদের অনুদান, তবুও ট্রাম্পকে 'ধন্যবাদ' জানাল বাংলাদেশ, ইউনুসের সরকার বলল…)
আরও পড়ুন: সনাতন হল ভারতের 'জাতীয় ধর্ম', ঐক্যের বার্তা দিতে মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথের
এদিকে কলম্বিয়ার বিদেশমন্ত্রী লুইস গিলবার্তো মুরিলো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'ফেরত আসা কলম্বিয়ানদের স্বাগত জানাবে দেশ।' এর আগে অভিবাসীদের ডিপোর্ট কার ক্ষেত্রে আমেরিকাকে সঠিক প্রোটোকল মেনে চলার জন্যে বলেছিলেন কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। এই আবহে অভিবাসী বহনকারী দুই মার্কিন সামরিক বিমানকে কলম্বিয়ায় অবতরণের অনুমতি দেননি তিনি। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প কলম্বিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেন। যার পরে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার ঘোষণা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার চাপে ঝুঁকতে বাধ্য হয় কলম্বিয়া।