কানাডায় ২৭ বছর বয়সী ভারতীয় ধর্মেশ কাথিরিয়ার মৃত্যু ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার কাথিরিয়ার মৃত্যু ঠিক কোন ঘটনার জেরে হয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জাতিবিদ্বেষই কাথিরিয়ার মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ?
জানা যাচ্ছে, ২৭ বছর বয়সী কাথিরিয়া শুক্রবার বিকেলে তাঁরই বিল্ডিং এর একটি লন্ড্রি রুমে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে তাঁর প্রতিবেশি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার পরিচিতি প্রকাশ করা হয়নি এখনও। জানা যাচ্ছে, এক ৬০ বছর বয়সীর হাতে কাথিরিয়ার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত একজন শ্বেতাঙ্গ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বর্ণবিদ্বেষ বা জাতিবিদ্বেষের জেরেই কাথিরিয়ার খুন হয়? গুজরাটের ভাবনগরের কাথিরিয়া ২০১৯ সালে পৌঁছেছিলেন কানাডা। সেখানে তিনি স্টুডেন্ট ভিসায় বসবাস করছিলেন। তিনি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কানাডায় ছিলেন। জানা যাচ্ছে, কাথিরিয়াকে খুনের আগে, তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কিছু জাতি বিদ্বেষমূলক বার্তা দেয় ওই অভিযুক্ত। তারফলেই জাতিবিদ্বেষের ঘটনা ঘিরে সন্দেহ তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কাথিরিয়ার পরিবারকে সমর্থন জোগানোর জন্য একটি ফান্ড রাইজার আয়োজন করা হয়েছে। সেই ফান্ড রাইজারের পোস্টে লেখা রয়েছে,'ধর্মেশকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এক প্রতিবেশীর অপ্রীতিকর ঘৃণামূলক অপরাধ এবং অর্থহীন আক্রমণে। তার জীবন শেষ করে দেওয়া সহিংসতা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সমগ্র সম্প্রদায়কে হতবাক ও শোকে ফেলেছে।' এই পোস্ট থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোনও জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন তিনি?
( Weather Rain Forecast:কালবৈশাখীর সম্ভাবনা কি আছে? দুর্জয় গরমে বৃষ্টির পূর্বাভাস কী! রইল আবহাওয়ার খবর)
জানা যাচ্ছে, কানাডার মিলানো পিৎজা রকল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন কাথিরিয়া। ধর্মেশ কাথিরিয়ার বাড়ির কাছেই সেই দোকান। ধর্মেশের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তারাও আপাতত মিলানো পিৎজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে,' আমাদের প্রিয় ম্যানেজার ধর্মেশ ৪ঠা এপ্রিল এক ভয়াবহ ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা গিয়েছেন।' ধর্মেশের মৃত্যু ঘিরে মুখ খুলেছে কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশন। হাইকমিশনের তরফে বলা হয়েছে,' অটোয়ার কাছে রকল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে একজন ভারতীয় নাগরিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পুলিশ জানিয়েছে যে একজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শোকাহত আত্মীয়দের সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা স্থানীয় সম্প্রদায়ের একটি সংস্থার মাধ্যমে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি।'